সম্প্রতি গুজরাটের ভারুচ জেলার আঙ্কলেশ্বর শহরের একটি স্কুলে বোর্ড পরীক্ষার সময় মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলে ফেলতে বাধ্য করেছে ঐ স্কুলেরই প্রিন্সিপাল। গত ১৩ মার্চ গণিত পরীক্ষার আগে ঐ স্কুলের হল পরিদর্শকদের মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব খুলে ফেলার নির্দেশ দেয় সেই প্রিন্সিপাল। ঘটনাটির পরদিন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সেই স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ করেন।
ভুক্তভোগীদের অভিভাবকরা জানান যে, পরীক্ষার আগে হিজাব খোলার জন্য স্কুলের কর্মীরা চাপ দিলে তাদের মেয়েরা একদম ভেঙ্গে পড়ে। তাদের একজন অভিভাবক জানান, ঘটনার পর তার মেয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে কান্নাকাটি করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে একজন ভুক্তভোগীর অভিভাবককে এ বিষয়ে অভিযোগ করতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, “মেয়েরা ঠিকমতো পরীক্ষা দিতে পারেনি। পরীক্ষা শুরুর আগেই তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিলো। আর এই ঘটনা প্রায় ১৫-২০ জন মেয়ের সাথে হয়েছে।”
গুজরাট মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর এম কে রাভাল এ বিষয়ে বলেন যে, “বোর্ড পরীক্ষার জন্য কোনও নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম নেই এবং এ বিষয়ে কোন নির্দেশনাও নেই। তাই এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দসই পোশাক পরতে পারবে। এছাড়া সিসি ক্যামেরাতে পরীক্ষার্থীদের মুখ দেখানো লাগবে এমন কোন নির্দিষ্ট নির্দেশনাও নেই। সুতরাং কোন (মেয়ে) পরীক্ষার্থীর পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের যে কোনও মহিলাকর্মী তার পরিচয় যাচাই করতে পারবে এবং শিক্ষার্থীরা যে কোনও পোশাকে পরীক্ষা দিতে পারবে।”
উল্লেখ্য যে, স্কুলের সেই দোষী প্রিন্সিপালকে আপাতত সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. Parents and students protest in Gujarat after girls asked to remove hijab before board exam
– https://tinyurl.com/5czdhuaa
2. In Gujarat’s Bharuch, around 20 Hijab-wearing students were forced to remove their Hijab
– https://tinyurl.com/mvt7vjpd