পূর্ব আফ্রিকার সরকারগুলো দাবি করছে যে, বিদেশী বাহিনী সোমালিয়া ছেড়ে গেলে শীঘ্রই দেশটির ক্ষমতা দখল করবে হারাকাতুশ শাবাবের মুজাহিদিনরা।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে, গত ৪ মে শনিবার কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেছে যে, সোমালিয়ায় আফগানিস্তানের মতো পরিস্থিতি এড়াতে যেনো ওয়াশিংটন দ্রুত হস্তক্ষেপ করে। কেননা চলতি বছরের শেষ নাগাদ বিদেশি সামরিক জোট (এটিএমআইএস) দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করছে। আর এমনটি ঘটলে সোমালিয়াকে আফগানিস্তানের ভাগ্যবরণ করতে হবে। তখন সোমালিয়ার ক্ষমতা দখল করবে আশ-শাবাব, যা আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য গুরুতর নিরাপত্তা সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
রুটো আরও জোর দিয়ে জানায় যে, এমন পরিস্থিতিতে আমাদের (হর্ন আফ্রিকার নেতাদের) অবস্থান হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সোমালিয়া নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তার সিদ্ধান্ত ও পথ পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় আমরা (জাতিসংঘের অর্থায়নে পরিচালিত) বিদেশি সামরিক জোট “এটিএমআইএস(ATMIS)” থেকে বের হয়ে যাব, আর আশ-শাবাব সোমালিয়া দখল করবে।
প্রায় একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে জিবুতি প্রেসিডেন্ট ওমর গুয়েলেহ বলেছে যে, আফ্রিকান ইউনিয়ন সোমালিয়া থেকে সরে গেলে দেশটি আশ-শাবাবের হাতে চলে যাবে।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম “টিআরটি-ওয়ার্ল্ডের” এক সাক্ষাতকারে গুয়েলেহ এটিএমআইএস-কে সোমালিয়া ছেড়ে না যাওয়ার অনুরোধ করে। তার মতে, আসন্ন সময়টি অত্যন্ত জটিল। এসময় সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মাঠে মোগাদিশু প্রশাসনের উপর খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই সোমালিয়া থেকে এখন বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার নয় বরং উপস্থিতি বাড়ানো উচিত। নয়তো আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারে যা ঘটেছিল, তা সোমালিয়াতেও ঘটবে।
উল্লেখ্য যে, এটিএমআইএস-এর অধিনে সোমালিয়ায় হাজার হাজার জিবুতি ও কেনিয়ার সৈন্য রয়েছে। এই মিশনের বাইরেও দেশ দুটির আরও কয়েক হাজার সৈন্য সোমালিয়ায় ইসলামি শরিয়াহ্ শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লিপ্ত রয়েছে।