আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে বিদেশে যেতে দেয়া হয় নি। বিমানবন্দরে তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ০৬ আগস্ট মঙ্গলবার বিকালে আটকে দেওয়ার খবর নিশ্চিত করে বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা।
এর আগে জনগণের তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের আগে অনেক মন্ত্রীও শীর্ষ নেতা দেশ ছেড়ে পালায়। যারা যেতে পারেনি, তারাও চেষ্টা চালাচ্ছে।
এছাড়া বেশ কয়েকজন সাবেক সচিব রাতারাতি পালিয়ে গেছে। তারা হল, নজরুল ইসলাম খান, উপদেষ্টা ডা. কামাল আবুল নাসের, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব কবির বিন আনোয়ার, অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, রাষ্ট্রদূত সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমান, বিচারপতি সামছুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।
সরকারের মন্ত্রী এমপিরা এখন কোথায়। কেউ জানে না তাদের অবস্থান। বিদেশে চলে গেছে নাকি দেশের মধ্যেই আছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। গত দুই দিনভর উত্তাল ঘটনার মধ্যে মন্ত্রী-এমপিদের কোনো উপস্থিতি ছিল না গণমাধ্যম বা অন্য কোথাও। খবর পাওয়া যাচ্ছে না আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদেরও। আগের দিন সক্রিয় থাকলেও গতকাল কোনো মন্ত্রী-এমপিকে দেখা যায়নি কোথাও। আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকেও দেখা যায়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিন কারও গণমাধ্যমে উপস্থিতি ছিল না।
উল্লেখ, ১৪ জুলাই থেকে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে দেশের পরিস্থিতি নাজুক দেখে বিদেশ থেকে ফ্লাইটের টিকিট কেটে ঢাকা ছাড়ে অনেক প্রভাবশালী এমপি-মন্ত্রী। তারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, থাইল্যান্ড, চীন ও দুবাই পাড়ি জমায়।
তথ্যসূত্রঃ
১.বিমানবন্দরে আটক সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও পলক
-https://tinyurl.com/mubytpnu
২.বিমানবন্দরে পলককে আটকে দেওয়ার খবর
-https://tinyurl.com/mr3caw94