রাজধানীর মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে ব্যবসায়ীর বাসায় ডাকাতির ঘটনায় র্যাবের সাবেক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও জড়িত বলে তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তা র্যাব সদর দপ্তরের একটি শাখার প্রধান ছিল। ২০১৯ সালে তাকে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসরে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া এই ডাকাতির ঘটনায় র্যাব ৪–এ কর্মরত শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যের (নন–কমিশন্ড) নাম এসেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেছিল, ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে কয়েকজন র্যাব সদস্যের নাম বলেছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
১১ অক্টোবর শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় ব্যবসায়ী আবু বকরের বাসায় ও কার্যালয়ে ডাকাতি হয়। সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরা ডাকাতেরা নিজেদের যৌথ বাহিনী বলে পরিচয় দেয়। তারা ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি সোনা লুট করে বলে গৃহকর্তা ও পুলিশ সূত্র জানায়।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় করা মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এই মামলায় গ্রেপ্তার কামাল হোসেন নামের একজন আসামিকে গত মঙ্গলবার (১৫ই অক্টোবর) রাতে ডিবির কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব। ডিবি জানিয়েছে, কামাল হোসেন সাবেক সেনাসদস্য।
আলোচিত এই ডাকাতির ঘটনায় গত রোববার (১৩ অক্টোবর) আটজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল র্যাব। তাদের মধ্যে তিনজনকে পরদিন ডিবির কাছে হস্তান্তর করে। বাকি পাঁচজন কোথায়, সেটা নিশ্চিত করে জানা যাচ্ছে না। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে ডিবির কাছে দেওয়া কামাল হোসেন ওই পাঁচজনের একজন কি না, সেটাও র্যাব পরিষ্কার করে বলেনি। এমনকি পাঁচজনের নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি।
তথ্যসূত্র:
১. মোহাম্মদপুরে ডাকাতি: র্যাবের সাবেক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জড়িত থাকার তথ্য
– https://tinyurl.com/594nm32r