মালির মোপ্তি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি সীমান্ত শহর বান্দিয়াগারা। বুরকিনা ফাসোর সীমান্তবর্তি এই শহরটি ঘিরে সম্প্রতি সামরিক অপারেশন জোরদারের পাশাপাশি শহরটির চতুষ্পার্শ্বে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছেন দেশটির সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা।
সেই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ অক্টোবর, বান্দিয়াগারার ডোগান অঞ্চলে মিলিশিয়া বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে একটি অতর্কিত আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। এতে ১০ মিলিশিয়া সদস্য নিহত এবং আরও অর্ধডজনেরও বেশি সদস্য আহত হয়।
আয-যাল্লাকার তথ্য অনুযায়ী, গত ২১ অক্টোবরেও, শহরটির উত্তরে বরাপিরা এলাকায় শত্রু বাহিনীর একটি টহল দলকে টার্গেট করে অতর্কিত আক্রমণ চালান মুজাহিদগণ। এতে মালির জান্তা বাহিনীর ১০ সদস্য নিহত হয় এবং আরও কিছু সংখ্যক সৈন্য গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এলাকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে পিছু হটার আগেই মুজাহিদদের আক্রমণে জান্তা বাহিনীর ২টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়। সেই সাথে মুজাহিদগণ কয়েক ডজন অস্ত্র ও অসংখ্য গোলাবারুদ ভর্তি বাক্স গনিমত হিসাবে অর্জন করেন।
এমনিভাবে গত ২৫ অক্টোবর, শহরটির টাউনকারি এলাকায় একটি অভিযান চালান মুজাহিদগণ। অভিযানটি এই অঞ্চলের আমাসাগাউ মিলিশিয়াদের একটি অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয়। ফলে এলাকাটিতে মিলিশিয়া বাহিনী ও মুজাহিদদের মধ্যে তীব্র লড়াই সংঘটিত হয়। মুজাহিদদের তীব্র আক্রমণের সামনে বেশি সময় ধরে টিকতে পারেনি মিলিশিয়ারা, ফলে তারা নিজেদের অবস্থান ছেড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তবে ততক্ষণে মুজাহিদদের হামলায় ১৪ মিলিশিয়া সদস্য নিহত এবং আরও কয়েক ডজন মিলিশিয়া সদস্য আহত হয়।
স্থানীয় সূত্রমতে, ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদগণ গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিনগুলো থেকে বান্দিয়াগারা শহরের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছেন। এই ধারাবাহিকতায় এক মাসেরও কম সময়ে শহরটির ১০টিরও বেশি এলাকায় জান্তা বাহিনী ও স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ছোট-বড় অন্তত দুই ডজন অভিযান পরিচালনা করছেন মুজাহিদিনরা। এতে অসংখ্য জান্তা ও মিলিশিয়া সদস্য হতাহত হয়েছে।
মুজাহিদদের এসকল অভিযানে সবচাইতে বেশি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বান্দিয়াগারা শহরের সোংহো, পেলকান্দা, জম্বো এবং আন্তাবা। সেই সাথে শহরের উত্তর-পূর্বে ওয়াউ, ব্যাঙ্কাস, বারাপিরা, উত্তরের দিয়াল্লাসাগউ, মাকা, সোকোরোকান্দা এবং দিয়াল্লায়ে থেকে শুরু করে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বের বিভিন্ন এলাকা।
উক্ত এলাকাগুলোতে এসকল অভিযানের মাধ্যমে মুজাহিদগণ জান্তা বাহিনীকে সহায়তাকারী স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর সামরিক শক্তিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। সেই সাথে মুজাহিদিনরা বান্দিয়াগারা শহরে প্রবেশকারী প্রায় সমস্ত (৭টি) সড়ক ও রাস্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদগণ খুব শীগ্রই বান্দিয়াগরা শহর পুরোপুরিভাবে অবরোধ করতে যাচ্ছেন।
আলহামদুলিল্লাহ