ওয়াজ মাহফিলে আলোচিত উগ্র সংগঠন ইসকনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মারধরের শিকার হয়েছেন মহিলা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সোলাইমান হোসেন। উপর্যুপরি হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
শনিবার (২রা ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আন নূর তাহফিজুল কুরআন মহিলা মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী সোলাইমান ওই ইউনিয়নের চরকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর স্ত্রী শেফালী আক্তার ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০ থেকে ১২ জনের নামে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় রাতেই প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ সমর্থিত কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য তাইজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চর কৃষ্ণপুর মোহাম্মাদীয়া তাজবিদুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা কর্তৃপক্ষ ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন মাওলানা ইয়াহিয়া তাকী। ওয়াজের একপর্যায়ে তিনি ইসকনের উগ্রতা এবং ইসকন সমর্থকদের হামলায় আইনজীবী হত্যার বিষয়ে কথা বলেন।
এসময় ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য তাইজুল ইসলাম বক্তাকে এ বিষয়ে ওয়াজ করতে নিষেধ করে। এতে মাহফিলের শ্রোতা দর্শকেরা তাইজুল মেম্বারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং বক্তাকে তার ওয়াজ অব্যাহত রাখতে বলেন। সেসময় অনেকের সাথে সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন মাওলানা সোলাইমান। পরের দিন বিকেলে তাইজুল মেম্বারের ছেলে রিফাত, সজল তারেক এবং জাসদ নেতা সোলাইমান খানসহ ১০ থেকে ১২জনকে সাথে নিয়ে আন নূর মহিলা মাদ্রাসায় যায়।
তারা বক্তার পক্ষে ও সভাপতি তাইজুল মেম্বারের বিপক্ষে শ্লোগান দেওয়ার সাহস কোথায় পেলেন বলে মাওলানা সোলাইমানের উপর হামলা করে। এরপর স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে সোলাইমানকে মানিকগঞ্জ জেলাসদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে, সোমবার (২রা ডিসেম্বর) সকালে জামায়াত নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে কৃঞ্চপুর বাজারে স্থানীয় জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবী জানান জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
তথ্যসূত্র:
১. মানিকগঞ্জে ইসকনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় প্রিন্সিপালকে মারধর
– https://tinyurl.com/4kdymyv5