মালিতে জান্তা ও ওয়াগনারের বিরুদ্ধে আল-কায়েদার ১২ অভিযান

0
66

আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। দলটির মুজাহিদিনরা চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে মালিতে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি অভিযান পরিচালনা করেছেন। এতে শত্রু বাহিনীর ৯টি সাঁজোয়া যান ধ্বংসের পাশাপাশি অসংখ্য সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আয-যাল্লাকার রিপোর্ট অনুযায়ী, জেএনআইএম মুজাহিদিনরা ১লা ডিসেম্বর থেকে গত ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মালিতে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে ১টি ইস্তেশহাদী হামলা সহ অন্তত ১২টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করছেন। মুজাহিদদের এসকল অভিযানের ৫টিই পরিচালিত হয়েছে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনী ও জান্তার যৌথ সামরিক দলগুলোর উপর। এছাড়া বাকি ৭টি অভিযান একভাবে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালনা করেন মুজাহিদিনরা।

সূত্রমতে, মুজাহিদদের এসকল অভিযানে শুধু দখলদার ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীরই ৫টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস এবং অনেক সৈন্য হতাহত হয়েছে। একইভাবে ইসলাম বিরোধী মালির জান্তা বাহিনীরও ৪টি সামরিক যান ধ্বংস এবং অসংখ্য সৈন্য হতাহত হয়েছে।

এদিকে মুজাহিদিনরা তাদের সবচাইতে বড় ২টি অভিযান পরিচালনা করেন সিকাসো এবং নামপালায়। প্রথম অভিযানটি চালানো হয় ৭ ডিসেম্বর, যা ফজরের পরপর সিকাসো রাজ্যের সিনফারনা এলাকায় জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। মুজাহিদিনরা এই অভিযানটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রথমে একটি ইস্তেশহাদী হামলার মাধ্যমে শুরু করেন এবং তা ইনগিমাসী মুজাহিদিনরা সমাপ্ত করেন। ফলশ্রুতিতে শত্রু বাহিনীর অনেক সৈন্য হতাহত হয় এবং ব্যাপক বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়।

মুজাহিদিনরা তাদের দ্বিতীয় সফল অভিযানটি পরিচালনা করেন গত ১২ ডিসেম্বর, যা মাসিনা অঞ্চলের নামপালা শহরের দক্ষিণে ওয়াগনার বাহিনীর একটি কনভয় টার্গেট করে অতর্কিত আক্রমণের মাধ্যমে শুরু করা হয়েছিল। মুজাহিদিনরা প্রথমে একটি আইইডি বিস্ফোরণের মাধ্যমে ভাড়াটে বাহিনীর পথ অবরোধ করেন, তার পরপরই মুজাহিদিনরা বিভিন্ন দিক থেকে কনভয়টি লক্ষ্য করে আক্রমণ চালাতে শুরু করেন। এতে ওয়াগনার বাহিনীর ১টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস এবং অন্য একটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলশ্রুতিতে ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর অনেক সদস্য হতাহত হয়। সেই সাথে ভাড়াটে বাহিনীর প্রচুর বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়।

ওয়াগনার বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত এই অভিযান শেষে মুজাহিদিনরা গনিমত হিসাবে অর্জন করেন ৯৪টি বোমা, ৪টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৯টি পিস্তল এবং ৪৪৫টি ছোট বুলেট বাক্স সহ অন্যান্য অনেক সামরিক সরঞ্জাম।


তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/yf4hyfwd

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
পরবর্তী নিবন্ধছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে রাবির ১৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার