কট্টর মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মদদে গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যা চালানোর এত সব অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, ইসরায়েলের জন্য সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।
জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহে ইসরায়েলকে ৩০ মিলিয়ন ইউরোর ($৩১.২ মিলিয়ন) বেশি মূল্যের অস্ত্র সরবরাহের অনুমোদন দিয়েছে। জার্মানির সংবাদপত্র ডের স্পিগেল ২৪ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে।
এ বছরের মধ্যেই জার্মানি ইসরায়েলকে ১৬০ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে, যদিও গাজায় মানবাধিকার সংস্থাগুলি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিরীহ মানুষের উপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ তুলেছে।
ডের স্পিগেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, সাম্প্রতিক অস্ত্র রপ্তানির তথ্যটি একটি অনুসন্ধানের পর অর্থ মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে ।
জার্মানি থেকে সরবরাহকৃত অস্ত্রগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মর্কাভা ট্যাঙ্কের ট্রান্সমিশন, যা জার্মানিতে তৈরি হয় এবং বার্লিনের অনুমোদনের পর সরবরাহ করা হয়েছে।
সম্প্রতি নিঃকারাগুয়া জার্মানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) একটি মামলা দায়ের করে, যেখানে জার্মানিকে গাজায় “গণহত্যা” করতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়। এর পর গত মার্চ মাসে গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করেছিল জার্মানি।
জার্মানি দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের একটি কট্টর মিত্র রাষ্ট্র। অস্ত্র রপ্তানির মাধ্যমে জার্মানি ইসরায়েলকে শক্তিশালী করছে। এসব অস্ত্র বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলায় ব্যবহৃত হওয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জার্মানিও জড়িত বলে বিশ্বমহলে সমালোচনার কথাও স্বীকার করেছিল জার্মান কর্মকর্তারা।
সমালোচকরা বলছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে জার্মানির অটুট সমর্থন আন্তর্জাতিকভাবে তার বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং বিশ্বব্যাপী বার্লিনকে আরও একঘরে করছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করেছে। তখন থেকে এ পর্যন্ত ৪৫,৩০০ এরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। চলমান এই আগ্রাসনে ১,০৫,০০০ এরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
তথ্যসূত্র:
1. Germany allows more arms exports to Israel, report says
– https://tinyurl.com/9yhs9p7k
আল্লাহ ফিলিস্তিনের মুজাহিদদেরকে শক্তিশালী করুন।আমিন।।।