পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ২০০৬ সাল থেকে পশ্চিমা দখলদারত্বের পাশাপাশি আফ্রিকান ক্রুসেডার জোটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন দেশটির মুসলিমরা। এবার এই দখলদারত্বকে টিকিয়ে রাখতে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে পরিচালিত জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন আফ্রিকান ইউনিয়নের সামরিক মিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণ করেছে মিশরীয় সেনাবাহিনী।
গত ২৩ ডিসেম্বর সোমবার, মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সোমালি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘ আলোচনার পর উক্ত সিদ্ধান্তটি আসে। রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় যে, “সোমালি সরকারের অনুরোধ এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদের ইতিবাচক অভ্যর্থনার ভিত্তিতে মিশর এই মিশনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
গত আগস্ট মাসে, পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু প্রশাসনের নেতা হাসান শেখ মাহমুদ কায়রো সফর করে। এসময় মিশর সোমালিয়ার সাথে একটি সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই ধারাবাহিকতায় মিশর আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে সোমালিয়ায় ২০ হাজার সেনা মোতায়েনের পাশাপাশি যুদ্ধবিমান ও সামরিক অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়।
জানা যায় যে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪-এ সোমালিয়ায় আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে চলমান আফ্রিকান ইউনিয়ন ট্রানজিশনাল মিশন (ATMIS) শেষ করা হবে। আর এর স্থানে নতুন করে আফ্রিকান ইউনিয়ন সাপোর্ট অ্যান্ড স্টেবিলাইজেশন মিশন (AUSSOM) আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ২০০৬ সালে সোমালিয়ায় সামরিক দখলদারত্ব শুরু হয়। আর তখন জাতিসংঘের নেতৃত্ব আফ্রিকান ইউনিয়নের অধীনে বিভিন্ন দেশের দখলদার সেনাবাহিনীকে সোমালিয়ায় মোতায়েন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে সোমালিয়ার ততকালীন ইসলামি সরকারের সামরিক শাখা “আশ-শাবাব” নামে প্রকাশ্যে আসে। আর তখন সোমালিয়াকে দখলদারত্বের হাত থেকে মুক্ত করতে আলেমদের নেতৃত্বে দেশটির যুবকরা দলে দলে আশ-শাবাবে যোগ দিতে শুরু করেন। এতে নতুন করে সোমালিয়ায় দখলদারত্বের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়, পরাভূত হতে থাকে পশ্চিমা বাহিনী ও তাদের মদদপুষ্ট মোগাদিশু প্রশাসন। মুজাহিদিনরা নিয়ন্ত্রণ নেন দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় সোমালিয়ার সিংহভাগ অঞ্চলের।
আর বর্তমানে পশ্চিমাদের হেরে যাওয়া এই যুদ্ধে মোগাদিশু প্রশাসনকে সামরিক সহায়তা প্রদান করতে সেনা মোতায়েন করছে মিশর। এই লক্ষ্য সোমালিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটি নির্মাণের পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জাম মজুদ করছে মিশরীয় বাহিনী।
তথ্যসূত্র:
১| Egypt To Join New AU Peacekeeping Force In Somalia
– https://tinyurl.com/2c8b5ddf
মিশর কি বিশ্বের সকল কুফরিশক্তি এক হলেও সোমালিয়ার মুজাহিদেরকে পরাজিত করতে পারবেনা।ইনশাআল্লাহ।