ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ছাগলের পিপিআর টিকা বিতরণ কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, ৭৩ হাজার ৪শত ডোজ পিপিআর টিকা ২০ জন মাঠকর্মীর মাধ্যমে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছাগল ও ভেড়ার শরীরে পুশ করা হয়েছে। প্রতিটি ডোজের বিনিময়ে ৫ টাকা পাবে মাঠকর্মী। সে হিসেবে ৭৩ হাজার ৪শত পিপিআর টিকার জন্য মাঠকর্মীরা পাচ্ছে ৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
সরেজমিনে গণমাধ্যমের সামনে আসে উলটো চিত্র। কে, কখন, কিভাবে টিকা বিতরণ করেছে, তার কিছুই জানে না কয়েকটি ইউনিয়নের ছাগল খামারিরা। ফলে উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত ছাগলের পিপিআর টিকা ও বরাদ্দকৃত অর্থ কাগজে বিতরণ দেখিয়ে অফিসে কর্মকর্তারা আত্মসাত করতে যাচ্ছে!
চরফ্যাশন উপজেলার চরমাদ্রাজ ইউনিয়ন চরনিউটনের বাসিন্দা বাবুল মাঝি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আমি ও আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে ছাগল পালন করে আসছি। এখনও ছাগল পালন করছি। আমরা ছাগলের কোন পিপিআর টিকা পাইনি। কে টিকা দিয়েছে, তাকেও চিনি না।
জিন্নাহগড় ইউনিয়নের কুতুবগঞ্জের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর ভেন্ডার বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগ কর্তৃক দেয়া কোন পিপি আর টিকা আমরা পাইনি। আমার ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। কে টিকা দিয়েছেন,তার নামও জানি না।
তথ্যসূত্র:
১. ৭৩ হাজার ৪শত ডোজ পিপিআর টিকা বিতরণে নয়ছয়
– https://tinyurl.com/5nysjvb7