বরখাস্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রী নুসরাত জাহানের ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৩৪২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি ) এ দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো: আক্তার হোসেন।
দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান নিজ নামে জ্ঞাত-আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২২ কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ১৪২ টাকার সম্পদ অর্জন করে। তা ছাড়া গাইডলাইন অব ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রান্সজেকশন-২০১৮ ও ২০২০ সালের এফইপিডি সার্কুলার-৬ অনুযায়ী বর্তমান অনুমোদিত সীমালঙ্ঘন করে নিজ হিসাবে ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার জমা করেছে। বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করে স্ত্রী নুসরাত জাহানের সহযোগিতা ও যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেছে।
আক্তার হোসেন বলেন, জিয়াউল আহসানের নামে ৮টি সক্রিয় ব্যাংক হিসাবে প্রায় ১২০ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। একজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা হওয়ার সুবাদে এই কাজে নিজের পদ ও অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দণ্ডবিধি, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান (বরখাস্ত) ও তার স্ত্রী নুসরাত জাহানের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপর দিকে, মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসানের স্ত্রী নুসরাত জাহান নিজ নামে জ্ঞাত-আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেছে। তার নামে থাকা ৪টি সক্রিয় ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২২২ কোটি ৫০ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করে ও স্বামী জিয়াউল আহসানের সহযোগিতা ও পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করেছে। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
১.জিয়াউল ও তার স্ত্রীর হিসাবে লেনদেন ৩৪২ কোটি টাকা
-https://tinyurl.com/fptx6bcf