রাজধানী মোগাদিশুর উপকন্ঠে শাবাবের ২টি ইস্তেশহাদী হামলা: হতাহত ৮০ ক্রুসেডার সৈন্য

0
218

আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাবের সামরিক নেতৃত্ব নিশ্চিত করেছে যে, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর উপকন্ঠে মুজাহিদদের পরিচালিত দুটি শহীদি অভিযানে প্রায় ৮০ উগান্ডান ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত হয়েছে। এসময় ৯টি সামরিক যানবাহন সহ শত্রু বাহিনীর অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে।

হারাকাতুশ শাবাবের সামরিক কমান্ডের বিবৃতি অনুযায়ী, গত ৪ আগস্ট সোমবার ,মোগাদিশুর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত আফগোয়ে জেলার উপকণ্ঠে বারির শহরে মুজাহিদিনরা জোড়া ইস্তেশহাদী হামলা চালিয়েছেন। আফ্রিকান ক্রুসেডার জোটের অংশীদার উগান্ডান বাহিনীর একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযানটি চালানো হয়েছে। ঘাঁটিটিতে আফ্রিকান জোট বাহিনী ইসলামি শরিয়াহ্ শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য বিপুল সংখ্যক ক্রুসেডার সৈন্য এবং যানবাহন একত্রিত করছিল।

মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর শক্তিবৃদ্ধির এই তথ্য পাওয়ার পরপরই ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমে একজন মুজাহিদ বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে সফলভাবে সামরিক ঘাঁটির কেন্দ্রস্থলে পৌঁছান, বিশেষ করে শত্রু বাহিনী যেখানে যুদ্ধের জন্য সাঁজোয়া যান ও অস্ত্রগুলো মজুদ করেছিল। শাবাব মুজাহিদ নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছেই শক্তিশালী গাড়ি বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটান।

এই বিস্ফোরণে ক্রুসেডার বাহিনীর অসংখ্য অস্ত্র, গাড়ি ও সামরিক সরঞ্জাম ধ্বংস হয়ে যায়, হতাহত হয় অনেক ক্রুসেডার সৈন্য। বিস্ফোরণের পর হতাহত ক্রুসেডারদের সমর্থনে ঘটনাস্থলে আরও সৈন্য ও যানবাহন জড়ো হয়। শত্রু বাহিনীর এই জড়ো হওয়ার কয়েক মিনিট পর ঘটনাস্থলে আরও একজন ইস্তেশহাদী মুজাহিদ গাড়ি বোমা নিয়ে উপস্থিত হন এবং সফলভাবে শত্রু বাহিনীর মাঝে গাড়ি বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটান। এতে মুজাহিদদের পূর্ববর্তী বিস্ফোরণে রেকর্ড করা ক্ষয়ক্ষতির চেয়েও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় উগান্ডান বাহিনী।

আশ-শাবাব মুজাহিদিন হামলার শত্রু বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করেছে যে, মুজাহিদদের দুটি ইস্তেশহাদী হামলায় ক্রুসেডার বাহিনীর অন্তত ৪৭ সৈন্য নিহত এবং ৩১ সৈন্য ও অফিসার আহত হয়েছে, আহত সৈন্যদের বেশিরভাগের আঘাতই গভীর ও মারাত্মক। তবে এই অভিযানে শত্রু বাহিনীর হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছে আশ-শাবাব, পরে এবিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করবে দলটি।

মুজাহিদদের হামলায় শত্রু বাহিনীতে হতাহতের ঘটনা ছাড়াও তাদের ৯টি সামরিক যানবাহন, বেশ কিছু আর্টিলারি ও ভারী সরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংস হওয়া এসবের মধ্যে রয়েছে সাঁজোয়া যান, সৈন্য পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত এপিসি, ট্যাংক এবং বারির শহরে বোমাবর্ষণের জন্য ব্যবহার করা ভারি আর্টিলারি, সামরিক সরঞ্জাম ও গোলাবারুদ।


তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/muharub2

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাজশাহীতে টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ৫০০ বিঘার অধিক ফসলি জমি; দুশ্চিন্তায় কৃষকরা
পরবর্তী নিবন্ধহেরাত প্রদেশে ৩০,০০০ মাদকাসক্তকে পুনর্বাসিত করলো ইমারতে ইসলামিয়া প্রশাসন