রাতের আঁধারে আ.লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সাবেক সেনা কর্মকর্তা

0
234

নরসিংদীর বৃহত্তম উপজেলা রায়পুরার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ স্কুল মাঠে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের লোকজনকে দেওয়া হচ্ছে এ প্রশিক্ষণ। রাতের অন্ধকারে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, সায়দাবাদ স্কুলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জসিম উদ্দিন এবং নজরুল ইসলাম।

গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, সপ্তাহের প্রায় প্রতি রাতেই চলে এ প্রশিক্ষণ। বিশেষ করে রাত যখন গভীর হয় তখনই সরব হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত দলটির নেতাকর্মীরা। এ সময় গুলি, আগ্নেয়াস্ত্র পরিচালনা ও ককটেলের শব্দে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা গণমাধ্যমকে জানান, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নিরীহ মানুষের বাড়িতে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও বাড়িঘরে লুটপাটের কারণে সায়দাবাদ গ্রামটি ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নতুন করে অস্ত্রের প্রশিক্ষণের কারণে তাদের মনে সন্দেহের দানা বাঁধছে।

গণমাধ্যমের বরাতে আরও জানা যায়, এ চরাঞ্চলে সংঘর্ষ টিকিয়ে রাখতে গোপনে বিভিন্ন স্থানে চলে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হানিফ মাস্টার ও এরশাদ নামে দুই ব্যক্তি কিছুদিন পরপর এ এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি হানিফ মাস্টারের ছায়াতলে থেকে রায়পুরার চরাঞ্চল শ্রীনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সায়দাবাদ গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম এলাকায় আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে ৫ আগস্টের পর নিজ নামে গড়ে তোলে সন্ত্রাসী বাহিনী। গত বছরের ২২ আগস্ট এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাহ আলম বাহিনীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় প্রতিপক্ষ এরশাদ গ্রুপের এক গৃহবধূ ও নবম শ্রেণির ছাত্রসহ ছয়জন।

আরও জানা যায়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকা দখলসহ নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার খবর প্রচার হতে থাকলে সায়দাবাদ গ্রামে শাহ আলম বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি পায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। আর এতেই নিয়মিত অস্ত্র হাতে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতা ও শাহ আলম বাহিনীর প্রধান শাহ আলম, যুবলীগের কথিত ডা. জসিম উদ্দিন, ইকবাল, সালাউদ্দিন, যুবলীগের ইউনুস, শিপন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের রহিম, সেলিম, হারুন, আরমান, ছাত্রলীগের রনি, মাহফুজ, বাবুসহ ৪০-৫০ জন। এসব ব্যক্তি প্রশিক্ষণ নিয়ে নাশকতা চালাতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের দাবি, গত বছর নরসিংদী কারাগার ভেঙে আসামি পলাতক ও অস্ত্র লুটের সঙ্গে জড়িত কিছু আসামি এ এলাকায় থাকতে পারে। তাদের মাধ্যমে কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র এ এলাকায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় ব্যাপক প্রাণহানিসহ নিরীহ মানুষের জানমালের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন তারা। এজন্য যৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।


তথ্যসূত্র:
১. রাতের আঁধারে আওয়ামীদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ সাবেক সেনা কর্মকর্তার
-https://tinyurl.com/mvdsy98f

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধভিডিও || পাকিস্তানে বাড়ছে ‘আইএমপি’ মুজাহিদদের ড্রোন হামলা: শত্রু বাহিনীর জন্য নতুন আতংক
পরবর্তী নিবন্ধঅসাধারণ প্রতিভাবান আফগান তরুণ সামিউল্লাহ’র প্রশংসায় তালিবান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী