
দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অব্যাহত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের জবাবে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো গাজায় ধারাবাহিক ও সংগঠিত হামলা চালাচ্ছে। আল–কাসসাম ব্রিগেড, আল–আকসা শহীদ ব্রিগেড এবং আল–নাসের সালাহউদ্দিন ব্রিগেড ১১ আগস্ট (সোমবার) একাধিক স্থানে ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটি, সেনা অবস্থান ও সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে মর্টার, রকেট ও স্নাইপার হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় অন্তত দুই দখলদার সেনা নিহত এবং একাধিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন আল–কাসসাম ব্রিগেড তিনটি পৃথক বিবৃতিতে জানায়, তারা গাজার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে এবং পূর্ব আল–তুফাহ এলাকায় স্নাইপার হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করেছে। স্নাইপারে ব্যবহৃত হয়েছে দেশীয়ভাবে তৈরি “গৌল রাইফেল”।
প্রথম অভিযানে আল–কাসসাম যোদ্ধারা পূর্ব গাজা সিটির আল–তুফাহ এলাকার পূর্বে সুরানি পাহাড়ের কাছে অবস্থিত একটি ইসরায়েলি “কমান্ড ও কন্ট্রোল” ঘাঁটিতে মর্টার শেল নিক্ষেপ করে। দ্বিতীয় অভিযানে রাফাহ শহরের দক্ষিণে সালাহউদ্দিন সড়কের পাশের জারাব পাহাড় সংলগ্ন আরেকটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনা “রাজুম” এ স্বল্পপাল্লার ১১৪ মিমি রকেট সিস্টেম দিয়ে আঘাত করা হয়।
এছাড়া, আল–আকসা শহীদ ব্রিগেড আল–নাসের সালাহউদ্দিন ব্রিগেডের সঙ্গে যৌথ অভিযানে খান ইউনুসের উত্তর-পূর্বে কাফর আল–কারারা এলাকায় অগ্রসরমান ইসরায়েলি সেনা ও সাঁজোয়া যানবহরে ৬০ মিমি মর্টার শেল বর্ষণ করে। প্রতিরোধ যোদ্ধারা জানিয়েছে, এসব হামলা দখলদার বাহিনীর গতিবিধি ব্যাহত করেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।
গাজায় চলমান এই প্রতিরোধ প্রমাণ করছে যে দখল, ধ্বংস ও গণহত্যার মুখোমুখি হয়েও একটি জাতি তার স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় আপসহীন থাকতে পারে। দখলদার ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের নিষ্ঠুরতা, পাশ্চাত্যের নীরবতা এবং মুসলিম বিশ্বের দুর্বল প্রতিক্রিয়া ইতিহাসে নিন্দিত হয়ে থাকবে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর প্রতিটি পদক্ষেপ স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে—ন্যায় ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই কখনো থামে না।
তথ্যসূত্র:
1. Al-Qassam Snipe Occupation Soldiers East of Gaza – Resistance Roundup – Day 674
– https://tinyurl.com/4ypsh5j9


