১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট কালিমা ও ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উপর ভিত্তি করে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। কিন্তু ক্ষমতা লোভী একদল শাসক এবং নিজেদের দ্বীন-ঈমান বিক্রিকারী জেনারেলদের কারণে এই ভূমির মুসলিমদের সেই স্বপ্ন, স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও শুধু স্বপ্নই থেকে গেছে। ফলে জনগণের মনে এই সরকার ও সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভের জন্ম হয়। আর এই ক্ষোভ থেকে জনগণের একটি সচেতন অংশ দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা ও ইসলামী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে দলবদ্ধ হয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নেন। ঐক্যবদ্ধ হয়ে গঠন করেন সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী, যার মধ্যে একটি হচ্ছে ইত্তেহাদুল মুজাহিদিন পাকিস্তান (আইএমপি)।
সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর মুজাহিদিনরা পাকিস্তানের প্রকৃত স্বাধীনতা ও ইসলামী ব্যবস্থা ছিনতাইকারী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি তাদের অভিযানের তীব্রতা ও পরিধি বাড়িয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার, দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা ছিনতাইকারী সামরিক বাহিনী যখন বিজয় উল্লাস করছিল, তখন মুজাহিদিনরা এই বাহিনীর বিরুদ্ধে ৪টি অঞ্চলে অন্তত ২২টি পৃথক অপারেশন পরিচালনা করেছেন।
প্রতিরোধ বাহিনী ‘আইএমপি’ মুখপাত্র মাহমুদুল হাসান (হাফিযাহুল্লাহ) এদিন পাকিস্তান জুড়ে মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানগুলো নিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ১৮টি পৃথক বিবৃতি জারি করেন। এতে উল্লেখ করা হয় যে, মুজাহিদিনরা গত ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের বান্নু, খাইবার, উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে অন্তত ২২টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছেন।
মুজাহিদিনরা এদিন তাদের বীরত্বপূর্ণ অভিযানগুলোর ৯টি পরিচালনা করেন বান্নু জেলায়। মুজাহিদিনরা এই জেলায় অবস্থিত শত্রু সামরিক বাহিনীর ৩টি দূর্গ, ৩টি চেকপোস্ট এবং ৩টি পুলিশ স্টেশন লক্ষ্য করে উক্ত অভিযানগুলো পরিচালনা করেন। এসময় মুজাহিদিনরা ৩টি ড্রোন থেকেও শত্রু অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে বিস্ফোরক শেল নিক্ষেপ করেন।
এদিকে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে এদিন মুজাহিদিনরা ৮টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন। মুজাহিদদের এসকল অভিযানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় শত্রু সামরিক বাহিনীর ৫টি চেকপোস্ট এবং ১টি দূর্গ। এছাড়াও জেলাটির ২টি এলাকায় শত্রু বাহিনী ও মুজাহিদদের মধ্যে ২টি সম্মুখ যুদ্ধের ঘটনাও ঘটে।
এমনিভাবে খাইবার এজেন্সিতে মুজাহিদিনরা এদিন ৪টি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন, যার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় শত্রু বাহিনীর ৪টি চেকপোস্ট।
এদিকে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানেও এদিন মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর ১টি সামরিক পোস্ট লক্ষ্য করে ১টি সফল অভিযান পরিচালনা করেন।
আইএমপি মুখপাত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এদিন শত্রু বাহিনীকে লক্ষ্য করে পরিচালিত অভিযানগুলোতে মুজাহিদিনরা একাধিক ড্রোন ব্যবহার করেছেন, একই সাথে ছোট-বড় ও ভারি অস্ত্রের পাশাপাশি মুজাহিদিনরা বিএম ক্ষেপণাস্ত্র, স্নাইপার, থারমিল এবং জিএল অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। ফলশ্রুতিতে শত্রু বাহিনীতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং বিপুল পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হয়।
মুখপাত্র তাঁর বিবৃতিগুলোর শেষে উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানের প্রকৃত স্বাধীনতা ও ইসলামি শরিয়াহ্ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আগ পর্যন্ত শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে মুজাহিদদের এধরণের সামরিক অভিযান বাধাহীনভাবে চলতে থাকবে।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/3ahdzfrz
– https://tinyurl.com/ezcuxzxc
– https://tinyurl.com/yjk6y73v
– https://tinyurl.com/4ns2npfv
– https://tinyurl.com/4k5rx5u4
– https://tinyurl.com/44mfcme6
– https://tinyurl.com/528kfmdp
– https://tinyurl.com/37zruyud
– https://tinyurl.com/3ak8rkzr
– https://tinyurl.com/ms43utve
– https://tinyurl.com/4s5bwm7s
– https://tinyurl.com/2krbhxxd
– https://tinyurl.com/2v4svnw2
– https://tinyurl.com/yvc9jahz
– https://tinyurl.com/bdke9bpp
– https://tinyurl.com/3fz85869
– https://tinyurl.com/44mwfsx8
– https://tinyurl.com/ywzrc28k
