
কাতারের রাজধানী দোহায় বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। বর্বরোচিত এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, যারা মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রগুলো জানিয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার, কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। জায়োনিস্ট ইসরায়েলি বিমান বাহিনী কয়েকটি যুদ্ধবিমান থেকে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ১০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এতে লক্ষ্যবস্তু ভবনসহ আশপাশের অন্তত ১২টি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন কানের মতে, কাতারে হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে পরিচালিত এই হত্যাকাণ্ড ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমন্বয় করে পরিচালনা করেছে।
দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দাবি করেছে যে, তারা হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালিয়েছে। তবে হতাহতদের পরিচয় বা অবস্থা এখনও স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আল আরাবিয়া জানিয়েছে যে, হামলার সময় হামাসের উচ্চপদস্থ নেতা খলিল আল-হাইয়াহ, জহির জাবারিন, খালিদ মেশাল এবং নিজার আভাদাল্লাহ ভবনে ছিলেন।
এদিকে আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে যে, খলিল আল-হাইয়াহ নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল এবং উচ্চপদস্থ সকল নেতা দোহায় ইসরায়েলের হত্যাকান্ড মিশন সফলভাবে এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এই হামলায় খলিল আল-হাইয়াহ’র ছেলে এবং তার অফিস ম্যানেজার শহীদ হয়েছেন।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই হামলাকে “কাপুরুষোচিত” আখ্যা দিয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। বলা হয়েছে এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং কাতারের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।
তথ্যসূত্র:
– https://tinyurl.com/ysxyr8aa


