
আফগানিস্তানে নতুন করে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছে ইমারতে ইসলামিয়া সরকার। ১৯ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে ইমারতে ইসলামিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৩য় রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক জাকির জালালি হাফিযাহুল্লাহু বলেন, আমেরিকার সাথে সামরিক সম্পর্ক নয়, বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থভিত্তিক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার সম্ভাবনা আছে।
বাগরাম বিমানঘাঁটি সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই সব মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, রাজনীতির বাইরেও ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী আলোচক। আপোষের প্রেক্ষিতে তিনি এই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।
কিন্তু ইমারতে ইসলামিয়া সরকার কখনোই বিদেশি সামরিক উপস্থিতি মেনে নেয় নি। দোহা আলোচনা ও প্রাসঙ্গিক চুক্তির সময়ই এই অবস্থান সুস্পষ্ট করা হয়েছে। এর পরিবর্তে অভিন্ন স্বার্থ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে কাবুল ও ওয়াশিংটনের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের দরজা খোলা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছে, আমরা বাগরাম ঘাঁটি ফিরে পেতে চাই। চীনের কৌশলগত অবস্থান উল্লেখ করে সে বলেছে, চীন যেখানে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে থাকে, সেখান থেকে বাগরাম ঘাঁটি এক ঘণ্টার দূরত্বে রয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. IEA official responds to Trump’s Bagram remarks, rules out foreign troop presence
– https://tinyurl.com/ynzj3kft


