
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় কমপক্ষে ২০ হাজার শিশুকে হত্যা করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র ইসরায়েল। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯ হাজার ৪৫০ জনের বেশি শিশুর লাশ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা ধ্বংস করেছে এবং ৮০ শতাংশেরও বেশি এলাকা দখল করেছে। আর এসব হামলা চালাতে দখলদার বাহিনী আনুমানিক দুই লাখ টন বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে।
এতে আরো বলা হয়, দুই বছর আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে এক হাজার ৬৭০ জন চিকিৎসা কর্মী, ১৪০ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা সদস্য এবং ২৫৫ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
এছাড়া অনাহার এবং স্বাস্থ্যসেবা ধ্বংসের কারণে গাজায় প্রায় ১২ হাজার গর্ভবতী নারীর গর্ভপাতের খবর পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি নারী নিহত হয়েছেন।
গাজার ৩৮টি হাসপাতাল, ৯৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ১৯৭টি অ্যাম্বুলেন্স ধ্বংস বা অকার্যকর করেছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।
বিবৃতি অনুযায়ী বর্বর ইসরায়েলি হামলায় ৮৩৫টি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে এবং ১৮০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তিনটি গির্জায় আক্রমণ করা হয়েছে, ৪০টি কবরস্থান ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং সমাধিস্থল থেকে দুই হাজার ৪৫০টিরও বেশি লাশ চুরি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে যে প্রায় দুই লাখ ৬৮ হাজার আবাসন ইউনিট সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে, এক লাখ ৪৮ হাজার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক লাখ ৫৩ হাজার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে দুই লাখ ৮৮ হাজারের বেশি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এছাড়া, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
1. Shocking Figures: Two Years of Genocide Leave Gaza 90% Destroyed
– https://tinyurl.com/y9fte8xv


