ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে কটূক্তি ইউআইইউ এর এক শিক্ষার্থীর

0
258

ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কটূক্তি করেছে বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- (UIU) এর এক শিক্ষার্থী। ইসলাম ধর্ম এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কটূক্তির দায়ে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই কটূক্তিকারীর নাম মোনসের আলী।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, UIU শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোনসের আলীকে (শিক্ষার্থী আইডি নম্বর: ০১১২২৩০৮৫৬) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মোনসের আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগে সেকেন্ড ট্রাই-সেমিস্টারে পড়ালেখা করছে। সে উত্তর বাড্ডার সাঁতারকুল এলাকায় এক ছাত্রাবাসে থাকে। সেখানে তার একজন রুমমেটকে সে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, পবিত্র কোরআন ও ধর্ম নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় কটূক্তি করতো! তার রুমমেটকেও নাস্তিকতায় বিশ্বাসী করতে চেষ্টা চালাতো! রুমমেট এসব নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে শাতিম মোনসের আলীর এমন আলোচনা ও কটূক্তি রেকর্ড করে। তাতে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। সেই অডিও রেকর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার (৮ অক্টোবর) মোনসের আলীকে ক্যাম্পাসে গণপিটুনী দেয়। পরবর্তীতে মোনসের আলীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুই দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে প্রথমটি, অতি দ্রুত অভিযোগ ওঠা শিক্ষার্থী মোনসের আলীকে স্থায়ী বহিস্কার করতে হবে ও আইনের আওতায় আনতে হবে। দ্বিতীয় দাবি ছিল, অতি দ্রুত ধর্মীয় মূল্যবোধ শেখানোর মতো কোনো আয়োজন করতে হবে এবং ওই দিন সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে।


তথ্যসূত্র:
https://tinyurl.com/b8mxbz4k

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনগণ থেকে কোনো প্রকার উপহার গ্রহণ করতে কর্মকর্তাদের নিষেধ করলেন আমীরুল মু’মিনীন
পরবর্তী নিবন্ধযুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও গাজায় বর্বর ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত