গোপালগঞ্জে বিএনপি নেত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

0
94

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির মহিলা দলের এক নেত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। দলীয় পদ ব্যবহার করে একের পর এক লোকজনকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো, মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া, মারধর ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

০৩ নভেম্বর গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত নেত্রী কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির মহিলা দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক লাইজু বেগম। সে ফুকরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শওকত হোসেন সরদারের মেয়ে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মহিলা দল নেত্রী লাইজু বেগম একাধিক বিয়ের তথ্য গোপন করে বিভিন্ন জনকে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। দলের নাম ভাঙিয়ে লোকজনকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো এবং মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া তার পেশায় পরিণত হয়েছে। তার কর্মকাণ্ডে গোটা ফুকরা ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ। এমনকি স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরাও নাকি তার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।

স্থানীয় বিএনপি নেতা বদরুল আলম জানায়, গত ১০ অক্টোবর লাইজু বেগমের আগের স্বামী লোহাগড়া উপজেলার চরদৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা আপেল মাহমুদ ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফুকরা বাসস্ট্যান্ডে আমার কাউন্টারে অপেক্ষা করছিল। এ সময় লাইজু অতর্কিকভাবে কাউন্টারে ঢুকে তার (সাবেক স্বামী) ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করতে চাইলে আমি বাধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন থানায় গিয়ে আমার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ করে। ১২ দিন পর একই ঘটনাস্থল দেখিয়ে আদালতে আমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। লাইজু এভাবে বিভিন্ন লোকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-অভিযোগ করে টাকার বিনিময় আপোষ করে।

ফুকরা গ্রামের ভ্যান চালক চঞ্চল মোল্যা বলেন, দুই মাস আগে লাইজু ফুকরা বাজার থেকে একটি ওয়্যারড্রোব বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলে। ভ্যান বাড়িতে না যাওয়ায় রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছে দেই। আমাকে রাস্তা থেকে মাথায় করে নিয়ে পৌঁছে দিতে বলে। আমি অসুস্থতার কারণে ওয়্যারড্রোব বাড়ি পৌঁছে দিতে রাজি না হওয়ায় লাইজু নিজেই তা বহন করতে গিয়ে ভেঙে ফেলে। এরপর আমার কাছে ৪ হাজার টাকা দাবি করে এবং র্যাব-পুলিশের ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে ‘গায়ে হাত দেওয়ার’ মিথ্যা অভিযোগ তুলে বলে, ‘টাকা দিবি না, তাহলে আমার গায়ে হাত দিলি কেন?’ অথচ সে আমার মেয়ের বয়সী। পরে মান-ইজ্জতের ভয়ে ২ হাজার টাকা দিয়ে রক্ষা পাই।

ধলগ্রামের বাসিন্দা সাজ্জাদুল ইসলাম রানা বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে আমার মোবাইলে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে কল করে লাইজু আমাকে বাজারে ডেকে নেয়। সেখানে আমার ওপর চড়াও হয় এবং আমার মোটর সাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়। এক পর্যায়ে মামলার ভয় দেখায়। লাইজু লোকজনকে মামলা দিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়।

লিটন সরদার নামে এক যুবক বলেন, লাইজু আমার নামে বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করেছে। সে এখন আপোষের কথা বলে লোক মারফতে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। টাকা দিলে সে মামলা প্রত্যাহার করবে। আমরা ফুকরা ইউনিয়নবাসী এই নারীর হাত থেকে বাঁচতে চাই।


তথ্যসূত্র:
1. গোপালগঞ্জে মহিলা দল নেত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
– https://tinyurl.com/2bt57dbh

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধনারী অপহরণ মামলায় বিএনপি নেতা গ্রেফতার
পরবর্তী নিবন্ধনাইজেরিয়ায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করেছে জেএনআইএম