
দীর্ঘকাল আমদানিনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও রপ্তানির দিকে গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান। দেশটির অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, রপ্তানি ও আমদানির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার এই প্রয়াস অর্থনীতির জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করছে। সম্প্রতি তাজিকিস্তানে শিল্পযন্ত্রপাতি এবং সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অ্যালুমিনিয়াম ক্যান রপ্তানির মাধ্যমে আফগান শিল্পখাত দুটি বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করেছে, যা স্থানীয় উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আফগানিস্তানের শিল্প খাতের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা হলো প্রথমবারের মতো জটিল শিল্পযন্ত্রপাতি প্রতিবেশী দেশ তাজিকিস্তানে রপ্তানি। এই রপ্তানিপণ্যের মধ্যে ছিল প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের চুল্লি, পাথর ভাঙার যন্ত্র, উত্তোলন ব্যবস্থা ও কনভেয়র বেল্টসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। শিল্প মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এই রপ্তানি আফগানিস্তানের প্রকৌশল ও উৎপাদন সক্ষমতার প্রমাণ দেয়। তাজিকিস্তানের মতো একটি দেশে আফগান পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা মধ্য দিয়ে এশিয়ার অন্যান্য বাজারে প্রবেশের পথও সুগম করতে পারে।
একই সময়ে, হেরাত শিল্প পার্ক থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ১০ কন্টেইনার অ্যালুমিনিয়াম ক্যান রপ্তানি করা হয়েছে। উচ্চমানের এই বাজারে আফগান পণ্যের স্থান পাওয়া দেশটির উৎপাদন শিল্পের গুণগত উন্নয়নের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মতে, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের মোট রপ্তানি আয় এখন ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ইমারাতে ইসলামিয়া সরকার দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ উৎপাদন অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ এবং অর্থনৈতিক কূটনীতির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে মনোনিবেশ করেছে। এই দুই ক্ষেত্রে অগ্রগতির মাধ্যমে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ইমারাতে ইসলামিয়া কেবল কাঁচামাল রপ্তানিকারকই নয়, বরং যন্ত্রপাতি ও শিল্প পণ্য উৎপাদনে আঞ্চলিক নেতৃত্বে পরিণত হতে পারে।
তথ্যসূত্র:
1.Afghanistan’s Industrial Exports: A New Beginning for Production and Self-Sufficiency
– https://tinyurl.com/92eujf7y


