হাদিকে হত্যা করেছে ‘ভারতীয় ‘র’ : চট্টগ্রামের ছাত্র-জনতা

0
42

জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে ‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। এছাড়াও সরকারের অবহেলা ও বিলম্বিত তদন্ত এ অভিযোগকে আরো উসকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে করা সমাবেশে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতা।

২৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনের প্রাঙ্গণ থেকে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা মিছিলটি শুরু করেন।

মিছিলটি আন্দরকিল্লা থেকে চেরাগী পাহাড় মোড় হয়ে জামালখান এলাকার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় পুরো পথজুড়ে ‘হাদির হত্যাকারীদের বিচার চাই’, ‘আধিপত্যবাদ মানি না’, ‘রুখে দাঁড়াও জনগণ’সহ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে অংশগ্রহণকারীরা। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও যোগ দেন। মিছিলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কয়েকজন অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘হাদিকে সরকার এবং ভারতীয় র-এর মিলে খুন করা হয়েছে। এটা এখন অনেকেরই সন্দেহ। তদন্ত যদি স্বচ্ছ হতো, তিন সপ্তাহেও অপরাধীরা ধরা না পরে থাকতনা।’

প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জুলাই ঐক্যের সংগঠক আবরার হাসান রিয়াদ বলেন, ‘তিন সপ্তাহ হয়ে গেলেও হাদি হত্যার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এমন নীরবতা ও বিলম্ব অনিবার্যভাবে প্রশ্ন তোলে। অন্তর্বর্তী সরকার এ ঘটনায় পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’

রিয়াদ আরো বলেন, ‘হাদি শুধু একজন কর্মী ছিলেন না, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো তরুণ প্রজন্মের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর মৃত্যু এই প্রজন্মকে আরো সংগঠিত হওয়ার বার্তা দিচ্ছে।’

ইনকিলাব মঞ্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রাফসান রাকিব বলেন, ‘শহীদ হাদির আদর্শ দলীয় নয়; এটি স্বাধীনতার বোধ ও আত্মমর্যাদার বহিঃপ্রকাশ। আধিপত্যবাদ বিরোধী, এই সংগ্রাম থেমে থাকার নয়।’

তিনি আরো দাবি করেন, হাদি হত্যার পর নানা জায়গায় তরুণদের প্রতিবাদ-ধর্মী সমাবেশে অংশগ্রহণ বাড়ছে, যা হাদির প্রভাব ও ভাবধারার প্রতিফলন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন তৌফিক ইমরোজ, এস এম শহিদ, আল মামুনসহ সংগঠনের আরও কয়েকজন নেতা। তারা বলেন, হাদি হত্যাকাণ্ড তরুণদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। বক্তাদের ভাষ্য, ‘রক্ত দিয়ে গড়া হাদির স্মৃতি কেউ মুছতে পারবে না। তাঁর নামে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নতুন সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠবে।’

মিছিলে ‘হাদি ভাই মরল কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা ভাঙো’, ‘রুখে দাও ভারতীয় আগ্রাসন’-এমন বিভিন্ন স্লোগান শোনা যায়।


তথ্যসূত্রঃ
https://tinyurl.com/2nb9a837

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধগুলিস্তানে শপিং কমপ্লেক্সে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
পরবর্তী নিবন্ধনানগারহার প্রদেশে একটি বিশেষায়িত কুষ্ঠরোগ চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধন