কাশ্মীরে একটি মন্দিরের ভিতরে আমাদের বোন আসিফাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয় গত বছর জানুয়ারিতে। খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ভারতীয় হিন্দুদের প্রতিক্রিয়া কী ছিল জানেন? ন্যূনতম মানবতাবোধ তো দূরে থাক, তাদের অধিকাংশ তখন পাগল হয়ে উঠেছিল বিকৃত যৌন লালসায়। এই জানোয়ারের দলেরা পর্নো সাইটগুলোতে ভিড় জমিয়েছিল বোন আসিফার ধর্ষণের ভিডিও খুঁজে পাবার আশায়। ভারত থেকে এই সময়ে এতো বেশি এই বিষয়টি সার্চ করা হয়েছিল যে সেই সময় বেশ কিছুদিন ধরে পর্নো সাইটগুলোতে শিশু আসিফার নাম ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছিল। [১]
লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। এই হল মুশরিকদের জঘন্য মানসিকতার চিত্র।
কাশ্মীর নিয়ে ভারতের নতুন কূটচাল এবং ৩৭০ ধারা বাতিলের পরও দেখা গেছে একই রকম প্রতিক্রিয়া। এ ধারা বাতিল হবার পর বিক্রম সাইনি নামে বিজেপির সংসদ সদস্য বলেছে, দলের কর্মীরা আজ খুব আনন্দিত, কারণ এখন তারা কাশ্মীরী গোরি (ফর্সা, সুন্দরি) মেয়েদের বিয়ে করতে পারবে। এটা শুধু বিজেপির চিত্র নয়, বরং সমগ্র ভারত থেকে জানোয়ারের দল গুগলে হামলে পড়েছে। পবিত্র মুসলিমাহদের নিয়ে নিজের বিকৃত ফ্যান্টাসি বাস্তবায়নে সার্চ শুরু করেছে ‘কাশ্মীরি গার্লস’ লিখে। গুগল ট্রেন্ডস অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি সার্চ হয়েছে কেরালা থেকে। ঝাড়খণ্ড ও হিমাচল প্রদেশ আছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে।
অন্যদিকে ‘ম্যারি কাশ্মীর গার্লস’ সার্চ সবচেয়ে বেশি হয়েছে দিল্লী, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে।
এই নাজাস, মুশরিক হিন্দু সন্ত্রাসীদের বিকৃত লালসার চিত্র এভাবেই ফুটে উঠেছে আজ বিশ্ববাসীর সামনে। এই হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা যতো শক্তিশালী হবে ততোই হুমকির সম্মুখীন হবে পবিত্র মুসলিম নারীরা, তাদের সম্মান ও সম্ভ্রম। মুসলিমদের মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যারা আজ হিন্দুত্ববাদী লালসার নিশানায়। তবুও কি মুসলিমরা আসন্ন এ বিপদ সম্পর্কে গাফেল থাকবে?
‘রামযি ইউসুফের ব্লগ’ ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত।