হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) এর দেহ ছিল লম্বা। চেহারা ছিল সুন্দর । ত্বক ছিল কোমল,লালমত ফর্সা।
যাঁরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র জবানে জীবদ্দশায় জান্নাতের শুভ সংবাদ লাভ করেছিলেন তিনি ছিলেন তাঁদের একজন।
প্রথম পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণ করে যাঁরা ‘সাবেকিনে আওয়ালীন’-এর বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.)। প্রথম দিকে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অষ্টম ব্যক্তি।
জাহেলি যুগে তাঁর নাম ছিল আবদে আমর মতান্তরে আবদে কাবা। ইসলাম গ্রহণের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর নাম রাখেন আব্দুর রহমান।
ইবনে সা’দ ওয়াকিদী বর্ণনা করেন, মক্কায় হস্তি বাহিনী বিপর্যস্ত হওয়ার দশ বছর পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) হযরত আবু বকর রা. এর দাওয়াতে ইসলাম গ্রহণ করেন। নবুওয়াতের শুরুলগ্নে ইসলাম গ্রহণের কারণে অন্যদের মত তিনিও অবর্ণনীয় নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হন।
অবশেষে নবুওয়াতের পঞ্চম বছর রজব মাসে যে এগারজন পুরুষ ও চারজন নারীর প্রথম কাফেলা মক্কা থেকে হাবশায় হিজরত করেন, তাঁদের সাথে হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফও হিজরত করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মদীনায় হিজরতের পর তিনিও মদীনায় হিজরত করেন। যারা হাবশা ও মদীনা দু’স্থানেই হিজরত করেছিলেন তাঁদেরকে বলা হয় ‘সাহিবুল হিজরাতাইন’।
মদীনায় এসে তিনি হযরত সা’দ ইবনে রাবী’ আল-খাযরাজীর গৃহে অবস্থান নেন। পরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁদের দু’জনকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন।
হযরত আনাস রা. বলেন, ‘আবদুর রহমান ইবনে ’আউফ হিজরত করে মদীনায় এলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সা’দ ইবনে রাবী’র সাথে তাঁর ভ্রাতৃসম্পর্ক কায়েম করে দেন। সা’দ ছিলেন মদীনার খাযরাজ গোত্রের নেতা ও ধনাঢ্য ব্যক্তি। তিনি আবদুর রহমানকে বললেন, আনসারদের সকলে জানে আমি একজন ধনী ব্যক্তি। আমি আমার সকল সম্পদ সমান দু’ভাগে ভাগ করে এক ভাগ আপনাকে দিয়ে দিতে চাই। আমার দু’জন স্ত্রী আছে। আমি চাই, আপনি তাদের দু’জনকে দেখে একজনকে পছন্দ করুন। আমি তাকে তালাক দেব। তারপর আপনি তাকে বিয়ে করে নেবেন। আবদুর রহমান রা. বললেনঃ ‘আল্লাহ আপনার পরিবার-পরিজন ও সম্পদে বরকত দান করুন! ভাই, এসব কোন কিছুর প্রয়োজন আমার নেই। আমাকে শুধু বাজারের পথটি দেখিয়ে দিন।’
ইসলামী ভ্রাতৃত্বে হযরত সা’দের এ উদারতার দৃষ্টান্ত শুধু মুসলিম উম্মাহ নয় বরং মানব জাতির ইতিহাসে বিরল। অন্যদিকে হযরত আবদুর রহমানের মহত্ত্ব, আত্মনির্ভরতা ও নিজ পায়ে দাঁড়ানোর দৃঢ় সংকল্পও বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
মদীনায় অবস্থানের দ্বিতীয় দিন আব্দুর রহমান তাঁর আনসারী ভাই সা’দকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘‘বেচা-কেনা হয় এমন কোন বাজার কি আশপাশে আছে?’’ সা’দ রা. বললেন: ‘‘হাঁ, ইয়াসরিবে (মদীনায়) কায়নুকার বাজার তো আছে।’ হযরত আব্দুর রহমান এক স্থান থেকে কিছু ঘি ও পনির খরিদ করে বাজারে যান। দ্বিতীয় দিনও তিনি এমনটি করলেন। এভাবে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। কিছু পয়সা হাতে জমা হলে তিনি এক আনসারী মহিলাকে বিয়ে করেন।
তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশায় সকল গাযওয়া ও সারিয়াতে অংশগ্রহণ করেছেন।
মক্কার মুশরিক ও ইসলামের দুশমনরা বার বার ইসলাম ও মুসলিমদের নিশ্চিহ্ন করতে আক্রমণ করেছে। ফলে বদর, উহুদ, খন্দক, হুনাইনের মতো বহু যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) প্রায় সব যুদ্ধেই অসামান্য অবদান রেখেছেন, বীরবিক্রমে যুদ্ধ করেছেন।
উহুদের যুদ্ধে হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দেন। ইবনে হাজারের মতে, উহুদের দিন তিনি সারা শরীরে মোট ৩১টি আঘাতপ্রাপ্ত হন। কিছু ক্ষত এমন গভীর ছিল যেখানে হাত ঢুকে যায়। পায়েও কয়েকটি আঘাত লেগেছিল,ফলে এক পা পঙ্গু হয়ে গিয়েছিল তাঁর।
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) ছিলেন কোরআন ও হাদিসের জ্ঞানে পরিপূর্ণ, পরামর্শদানে বিজ্ঞ, বিচার ফায়সালার ক্ষেত্রে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, ফতওয়া দানে অভিজ্ঞ। তাই প্রথম তিন খলিফাই তাঁকে বিশেষ মর্যাদার আসন দান করেছিলেন।
হযরত আবু বকরের খিলাফতকালে আটজন বিশিষ্ট সাহাবিকে ফতওয়া দান ও বিচারকার্য পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। হযরত আব্দুর রহমান ছিলেন ওই আটজনের একজন। হযরত আবু বকর (রা.) অন্তিম শয়ানে তাঁকে ডেকে একান্তে হযরত উমরকে পরবর্তী খলিফা হিসেবে মনোনয়নের জন্য পরামর্শ দেন। হযরত উমর (রা.) তাঁর খিলাফতকালে হযরত আব্দুর রহমানকে বিশেষ পরামর্শকের মর্যাদা দান করেন। তিনি যখন রাতের বেলায় একাকী মদীনাবাসীর অবস্থা পরিদর্শনে বের হতেন, মাঝেমধ্যে হযরত আব্দুর রহমানকে সঙ্গে নিতেন। খলিফা হযরত উমর (রা.) সাহাবায়ে কেরামের ভাতা এবং জিযিয়া ও খারাজ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এবং আরো বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে হযরত আব্দুর রহমান রা. এর পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন। হযরত উমর (রা.) আবু লুলুর ছুরিকাঘাতে যখন মৃত্যু শয্যায়, তখন তিনি পরবর্তী খলিফা নির্বাচনের জন্য ছয় সদস্যের যে বোর্ড গঠন করে গিয়েছিলেন, আব্দুর রহমান ইবনে আউফ ছিলেন ওই বোর্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি তাঁর নিজের দাবি ত্যাগ করে উসমানকে (রা.) খলিফা নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তৃতীয় খলিফা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি মসজিদে নববীর ইমামতিসহ খলিফার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হযরত উসমানের খিলাফতকালে খলিফার মজলিসে শুরার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ইসলামী খিলাফত ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
সাহাবাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম ধনী ও দানশীল। মক্কা থেকে সম্পূর্ণ রিক্ত হস্তে আব্দুর রহমান (রা.) মদীনায় এসেছিলেন। সামান্য ঘি ও পনির কেনাবেচার মাধ্যমে তিনি তাঁর ব্যবসা শুরু করেন। কালক্রমে তিনি তৎকালীন মুসলিম উম্মাহর একজন সফল ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিতে পরিণত হন। কিন্তু সে সম্পদের প্রতি তাঁর একটুও লোভ ও আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশায় এবং তাঁর ইন্তেকালের পরেও তিনি সে সম্পদ অকৃপণ হাতে আল্লাহর পথে ও মানব কল্যাণে ব্যয় করেছেন।
একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি অভিযানের সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি বললেন, ‘আমি একটি অভিযানে সৈন্য পাঠানোর ইচ্ছা করেছি, তোমরা সাহায্য কর।’ আবদুর রহমান তখনই বাড়িতে গিয়ে আবার ফিরে এসে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমার কাছে এ চার হাজার দীনার আছে। দু’হাজার আমার রবকে করজে হাসানা দিলাম এবং বাকী দু’হাজার আমার পরিবার-পরিজনের জন্য রেখে দিলাম।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তুমি যা দান করেছ এবং যা রেখে দিয়েছ, তার সবকিছুতে আল্লাহ তায়ালা বরকত দান করুন।’
একবার মদীনায় শোরগোল পড়ে গেল, সিরিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য নিয়ে একটি বাণিজ্য কাফেলা উপস্থিত হয়েছে। শুধু উট আর উট। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা রা. জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এ কার বাণিজ্য কাফেলা?’ লোকেরা বলল, ‘আবদুর রহমান ইবন আউফের।’ তিনি বললেন, আমি রাসূলকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, আমি যেন আবদুর রহমানকে সিরাতের ওপর একবার হেলে গিয়ে আবার সোজা হয়ে উঠতে দেখলাম।’ অন্য একটি বর্ণনায় আছে, হযরত আয়েশা রা. বলেন, ‘আল্লাহ দুনিয়াতে তাঁকে যা কিছু দিয়েছেন তাতে বরকত দিন এবং তাঁর আখিরাতের প্রতিদান এর থেকেও বড়। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ আব্দুর রহমান হামাগুড়ি দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’
হযরত আয়েশার এ কথা আবদুর রহমানের কানে গেল। তিনি বললেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমাকে সোজা হয়েই জান্নাতে প্রবেশ করতে হবে।’ অতঃপর তিনি তাঁর সকল বাণিজ্য সম্ভার সাদকা করে দেন। পাঁচশত, মতান্তরে সাতশত উটের পিঠে এ মালামাল বোঝাই করা ছিল। কেউ বলেছেন, বাণিজ্য সম্ভারের সাথে উটগুলোও তিনি সাদকা করে দেন।
হযরত আবদুর রহমান ছিলেন উম্মাহাতুল মুমিনীনের প্রতি নিবেদিত প্রাণ। তাঁদের সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য তিনি আজীবন অকাতরে খরচ করেছেন। তাঁদের নিকট তিনি ছিলেন একজন বিশ্বাসী ও আস্থাভাজন ব্যক্তি। একবার তিনি কিছু ভূমি চল্লিশ হাজার দীনারে বিক্রি করেন এবং বিক্রয়লব্ধ সমুদয় অর্থ বনু যুহরার (রাসূলুল্লাহর সা. জননী হযরত আমিনার পিতৃ-গোত্র) লোকদের মধ্যে এবং ফকীর-মিসকীন, মুহাজির ও আযওয়াজে মুতাহ্হারাতের মধ্যে বণ্টন করে দেন। হযরত আয়েশার নিকট তাঁর অংশ পৌঁছলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কে পাঠিয়েছে?’ বলা হলো, ‘আবদুর রহমান ইবন আওফ।’ তিনি বললেন, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে লক্ষ্য করে বলেছেনঃ ‘আমার পরে ধৈর্যশীলরাই তোমাদের প্রতি সহানুভূতি দেখাবে।’
হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ রা. সাহাবাগণের মাঝে সবচেয়ে বেশি গোলাম আজাদ করেছেন।
ইবনে হাজার ‘আল-ইসাবা’ গ্রন্থে জাফর ইবনে বারকানের সূত্রে উল্লেখ করেছেন, আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় তিনি ৩০০০০ (ত্রিশ হাজার) গোলাম আজাদ করেছেন।
নবম হিজরীতে তাবুক অভিযানের সময় মুসলিমগণ যে ঈমানী পরীক্ষার সম্মুখীন হন, সে পরীক্ষায়ও তিনি কৃতকার্য হন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ অভিযানের জন্য হযরত আবু বকর, উসমান ও আব্দুর রহমান রা. রেকর্ড পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন। আবদুর রহমান আট হাজার দিনার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাতে তুলে দিলে মুনাফিকরা কানাঘুষা শুরু করে দেয়। তারা বলতে থাকে, ‘সে একজন রিয়াকার- লোক দেখানোই তাঁর উদ্দেশ্য।’ তাদের জবাবে আল্লাহ বলেন, ‘এ তো সেই ব্যক্তি যাঁর উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হতে থাকবে।’ (সূরা তাওবাহঃ ৭১) অন্য একটি বর্ণনায় আছে, উমর রা. তাঁর এ দান দেখে বলে ফেলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আব্দুরু রহমান গুনাহগার হয়ে যাচ্ছেন। কারণ, তিনি তাঁর পরিবারের লোকদের জন্য কিছুই রাখেননি।’ একথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করেন, ‘আবদুর রহমান, পরিবারের জন্য কিছু রেখেছ কি?’ তিনি বলেন, ‘হাঁ। আমি যা দান করেছি তার থেকে বেশী ও উৎকৃষ্ট জিনিস তাদের জন্য রেখেছি।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কত?’ বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যে রিযিক, কল্যাণ ও প্রতিদানের অঙ্গীকার করেছেন, তাই।’
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে খুবই ভালোবাসতেন। তাবুক অভিযানকালে একদিন ফজরের সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রাকৃতিক প্রয়োজন মিটাতে বাইরে গেলে ফিরে আসতে বিলম্ব হয়। এদিকে সূর্যোদয়ের সময় নিকটবর্তী হয়ে যায়। আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) সমবেত সাহাবিদের অনুরোধে ইমাম হয়ে সালাত শুরু করে দেন। এক রাকাত শেষে রাসূলুল্লাহর উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে পেছনে সরে আসতে চান। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে নিজ স্থানে থাকতে ইশারা করেন এবং তাঁর পেছনে ইকতেদা করে সালাত আদায় করেন।
ইমাম মুসলিম ও আবু দাউদ তাঁদের সহীহ গ্রন্থদ্বয়ে এ সম্পর্কিত হাদিস বর্ণনা করেছেন।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) আসমানে যেমন বিশ্বস্ত তেমনি দুনিয়াতেও বিশ্বস্ত।
ইবনে সা’দের মতে, হযরত আবদুর রহমান হিজরী ৩২ সনে ৭৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তবে ইবনে হাজারের মতে, তিনি ৭২ বছর জীবন লাভ করেছিলেন।
ইবনে হাজার এ কথাও বলেছেন, হযরত উসমান অথবা যুবাইর ইবনুল আওয়াম তাঁর জানাযার ইমামতি করেন। আর, তাঁকে মদীনার বাকী গোরস্থানে দাফন করা হয়।
তথ্যসূত্র:
সিয়ারে আলামুন নুবালা- মুহাম্মদ আয যাহাবী
উসদুল গাবাহ- ইবনে আসির
মাউকায়ু তরীকিল ইসলাম