নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। রোববার দিল্লির জামিয়া এবং উত্তর প্রদেশের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভ হয়েছে হায়দারাবাদের মৌলানা আজাদ, যাদবপুরসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে আসামসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গ কয়েক দিন ধরেই অগ্নিগর্ভ। গত রোববার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে খোদ রাজধানী দিল্লিতে। গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। জামিয়ার ক্যাম্পাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী পুলিশের লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসে আহত হন।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত হয় অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে আটক করা হয় শতাধিক শিক্ষার্থীকে।
ছাত্ররা বলেন, পুলিশ আমাদেরকে হাত উঁচু করে হাঁটার জন্য বলেছে। আমরা তাই করছি। লাইব্রেরিতে যতো শিক্ষার্থী ছিল সবাইকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
জামিয়ার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভে নামেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, মৌলনা আজাদ উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় তাদেরও।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সেবা।
গত সোমবার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির অনলাইনে ভারতের উত্তর প্রদেশের এ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের খবর প্রকাশিত হয়েছে।