ভারতে সাম্প্রদায়িকতাপূর্ণ বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ হচ্ছে। তবে বিক্ষোভে সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে পোষাক পরিবর্তন করে তাতে অংশ নিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন সন্ত্রাসী দল বিজেপির নেতা ও সমর্থকরা। টুপি আর লুঙ্গি পরে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের অভিযোগে এক বিজেপি কর্মী ও তার পাঁচ সঙ্গীকে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলায় আটক করা হয়েছে। ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের সময় তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ-সহিংসতার ঘটনায় কিছুদিন আগে সন্ত্রাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিক্ষোভকারীদের পোশাক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিল।
বলেছিল, “পোশাক দেখেই বোঝা যায়, কারা সহিংসতা ছড়াচ্ছে।”
কিন্তু এই আটকের ঘটনায় মুখ পুড়ল বিজেপিরই।
এদিকে,মুসলিমবিরোধী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দমনে বিক্ষোভকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছিল রেল প্রতিমন্ত্রী সন্ত্রাসী সুরেশ অঙ্গদি। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে এমন নির্দেশ দেয়।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশের বাধায় বিভিন্ন এলাকায় এ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। প্রসঙ্গটি টেনে রেল প্রতিমন্ত্রী বলেছে, ‘আমি জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি- কেউ রেলের সম্পত্তি নষ্ট করতে এলেই গুলি চালান। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবেই আমি এই নির্দেশ দিয়েছি।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় জানায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গুলি করার এই নির্দেশের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেরই প্রশ্ন, একজন রেল প্রতিমন্ত্রী কি এমন নির্দেশ দিতে পারে?
কিন্তু এই আটকের ঘটনায় জানা গেল কারা রেলের সম্পত্তি নষ্ট করে।
এমনিভাবে, মুসলিম-বিদ্বেষী সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের প্রতিবাদে ভারতে বিক্ষোভরত আন্দোলনকারীদের ওপর দোষ চাপাতে হাসপাতালে তাণ্ডব চালিয়েছে দেশটির সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনী। হাসপাতালে হামলা চালানোর একটি ভিডিও এরইমধ্যে স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে আন্দোলনকারীদের ফাঁসাতে দিল্লিতে গাড়িতে পুলিশের আগুন দেয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।
I heat so mush this kind of peoples,