নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি ইস্যুতে জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে বিজেপি। কেন্দ্র বিরোধিতায় সরব বিজেপি বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দল। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলের নেতারা। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিজেপিবিরোধী একাধিক দল প্রতিবাদে সরব।
এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্র বিরোধিতায় সরব দেশের মুসলিম সমাজ। এবার তাই এই দুই আইন নিয়ে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলার ভাবনা বিজেপি নেতৃত্বের। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গেছে।
জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই জাতীয়স্তরে একটি সেমিনার করার ভাবনা বিজেপি শীর্ষ সন্ত্রাসীদের। সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিদের। তাঁদের এনে একথা বলানো হবে এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের জেরে কোনওভাবে কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই এদেশে বসবাসকারী মুসলিমদের, সেমিনারে মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিদের এমনই বার্তা দিতে চায় বিজেপি।
অথচ, সকলেই জানে এ আইন মুসলিমদের জন্য চরম ক্ষতিকর।
আগামী জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ‘সম্পর্ক অভিযান’ করার ভাবনা বিজেপির। মুসলিম মন পেতে(বোকা বানাতে) নতুন করে তৎপরতা বিজেপি শিবিরে। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে বিরোধীদের উপর্যুপরি প্রচারে দেশের মুসলিম সমাজে বিজেপির প্রতি বিরূপ মনোভাব ছড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করছে বিজেপির একাংশ। মুখে সরাসরি না বললেও ‘সম্পর্ক অভিযান’ করার ভাবনায় বিজেপির সেই মনোভাবই স্পষ্ট হয়েছে। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা করছে বিরোধী সচেতন মহল।
একইসঙ্গে পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে একাধিক মুসলিম সংগঠন। এরই পাশাপাশি কেন্দ্র-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির একই ইস্যুতে চলা আন্দোলনে মুসলিম সমাজের আন্দোলনও অন্য মাত্রা পেয়েছে। বিজেপির আশঙ্কা আসন্ন নির্বাচনগুলিতে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মনোভাব প্রভাব ফেলতে পারে। এবার তাই মুসলিম সমাজকে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে মুসলিমদের সংশয়ে রেখে ফায়দা হাসিলের পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি। রীতিমতো সেমিনার করে কেন্দ্রীয় আইন নিয়ে পাঠ দেওয়ার ভাবনা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের। কেন্দ্রের এই দুই আইন প্রয়োগে এদেশের কারও স্বার্থে যে আঘাত লাগবে না, সেকথাই তাঁদের বোঝাতে মরিয়া বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।