নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের কারণে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য করছে সরকার। এতে প্রতি ঘন্টায় অপারেটরদের লোকসান হচ্ছে ২.৪ কোটি রুপি। শীর্ষ স্থানীয় একটি লবি গ্রুপ শুক্রবার এ কথা বলেছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মুসলিম বাদে অন্য সব ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দিতে ভারত সরকার পার্লামেন্টে পাস করেছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ। এরপর গত প্রায় তিন সপ্তাহ দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ প্রতিবাদ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিজনেস টুডে।
সমালোচকরা ওই আইনকে মুসলিম বিরোধী বলে সমালোচনা করছেন। কিন্তু ক্ষমতায় থাকা উগ্র হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল বিজেপি সরকার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু প্রতিবাদ বিক্ষোভ কিছুতেই থামছে না।
এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ২৩। বিক্ষোভ দমাতে সরকার মোতায়েন করেছে হাজার হাজার পুলিশ। পাশাপাশি মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এর ফলে ইন্সটাগ্রাম, টিকটককের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারছে না ভোক্তারা। সরকারের এমন আচরণের কড়া সমালোচনা করেছেন ইন্টারনেট স্বাধীনতা বিষয়ক অধিকারকর্মীরা। শুক্রবার উত্তর প্রদেশের কমপক্ষে ১৮ টি জেলায় মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়। টেলি যোগাযোগ বিষয়ক একটি সূত্র এ কথা বলেছেন। একটি ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো এমন নির্দেশনা দেখতে পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, রাজধানী নয়া দিল্লির বাইরে ২৮ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টা বাসায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা থাকবে না।
সুইডেনের টেলি যোগাযোগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান এরিকসনের মতে, বিশ্বে স্টার্মফোনে সবচেয়ে বেশি ডাটা ব্যবহার করেন ভারতীয়রা। তারা প্রতি মাসে গড়ে ৯.৮ গিগাবাইট ডাটা ব্যবহার করেন। ফেসবুক ও এর ম্যাসেঞ্জার সেবাদানকারী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বড় বাজার হলো ভারত। তাই সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিওএআই) বলেছে, এসব বিক্ষোভ দমনের জন্য প্রথম অ্যাকশন হওয়া উচিত নয় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া। সিওএআইয়ের সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় এয়ারটেল, ভোডাফোনে আইডিয়া, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের জিও ইনফোকম।