![চীনে বন্দিশিবিরে আটক মুসলিম নারীদের জোর করে গর্ভপাত! চীনে বন্দিশিবিরে আটক মুসলিম নারীদের জোর করে গর্ভপাত!](https://i0.wp.com/;https://i.postimg.cc/Hxqvgv7H/164405-Cap-kalerkantho-pic-copy-696x420.jpg?w=696&resize=696,0&ssl=1)
চীনে মুসলিম নারীদের বিভিন্নভাবে নিপীড়ন করা হচ্ছে। দেশটির বন্দিশিবিরে আটক মুসলিম নারীদের জোর করে গর্ভপাত করানো হচ্ছে। ওই বন্দি শিবিরে একসময় বন্দি হয়ে থাকা অনেক নারী এমন অভিযোগ করেছেন। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জাননো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তারা। ওই নারীরা জানান, তাদের নির্যাতনকারীদের বিচারের আওতায় আনতে তাদের করার কিছুই নেই। চীনের বন্দিশিবির থেকে পালিয়ে আসা গুলজিরা নামে এক মুসলিম নারী জানান, তিনি গর্ভবতী ছিলেন। পরে খবর পেয়ে চীনের বন্দিশিবিরের কর্তৃপক্ষ জোর করে গর্ভপাত ঘটায়। গর্ভপাতের পর তারা ওই নারীকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখানে কিছু ওষুধ দেয়।
চীনে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতনের কারণে চীনা সরকারের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। চীন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে যে তারা বিপুল সংখ্যক উইঘুর মুসলিমকে কতোগুলো বন্দি শিবিরের ভেতরে আটকে রেখেছে।
একটি প্রতিবেদনে জানা যায় ১০ লাখের মতো উইঘুর মুসলিমকে পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলে কয়েকটি শিবিরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন বলছে, এসব ক্যাম্পে তাদেরকে ‘নতুন করে শিক্ষা’ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বেইজিং সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
জেনেভায় ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের এক অধিবেশনে চীনা কর্মকর্তা বলছে, ১০ লাখ উইঘুরকে বন্দি শিবিরে আটকের রাখার খবর ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’। কিন্তু তারপরে চীনের একজন কর্মকর্তা লিও শিয়াওজুন বলেন, চীন সেখানে কিছু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছে যেখানে লোকজনকে নানা ধরনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।