আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাটোরের গুরুদাসপুরে সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা সোহেল রানা বাদি হয়ে ২২ জনের বিরুদ্ধে এবং সন্ত্রাসী আওয়ামীলীগ নেতা মিন্টু গ্রুপের আব্দুল লতিফ বাদি হয়ে ১৮ জনের বিরুদ্ধে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিডি প্রতিদিন সূত্রে জানা যায়, চাপিলা ইউনিয়নের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে ইউনিয়ন সন্ত্রাসী যুবলীগ সভাপতি পদ প্রত্যাশী সোহেল রানা এবং আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে ইউনিয়ন সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোক্তাদিরুল ইসলাম মিন্টু বিশ্বাসের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
এসময় বাড়িঘর ভাংচুরসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সোহেল রানা বলেন, মিন্টু বিশ্বাসের ভাই সেন্টু বিশ্বাসের নেতৃত্বে ইয়াকুব বিশ্বাস, কবির মেম্বার, জিয়াউল মুন্সি তাদের দলবল নিয়ে প্রথমে তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে নগদ ৬ লাখ টাকা লুট ও একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। সেই সাথে সোহেল রানার বিয়াই সানাউল্লা, রেজাউল ও সাইদুলের বাড়িঘর ভাংচুর করে।