শরীয়তপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র দাউদ ইব্রাহীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের এক নেতা । হাতুড়ির আঘাতে তার বাঁ হাত ভেঙে গেছে। কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির সন্ত্রাসী ছাত্রলীগ কমিটির এক নেতার নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। দাউদ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কলেজ সূত্র জানায়, আজ সকালে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ চত্বরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বেলা একটার দিকে একাদশ শ্রেণির ছাত্র দাউদ ইব্রাহীমকে শহরের দুবাই প্লাজার কাছে একা পেয়ে কলেজের দ্বাদশ শ্রেণি শাখা সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের এক নেতার নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে অংশ নেয় ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির আরও কয়েক ছাত্র। তারা দাউদকে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়। এতে তার বাঁ হাত ভেঙে যায়। ডান হাতের কনুইতে আঘাত লাগে। খবর পেয়ে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মফিজুর রহমান বলেন, দাউদের বাঁ হাতের কনুইয়ের নিচে ভেঙে গেছে। দু-এক দিনের মধ্যে সেখানে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর কারণে আঘাতটা মারাত্মক।
দাউদ ইব্রাহীমের বাবা শহীদুল ইসলাম ব্যাপারী বলেন, ‘আমার ছেলে কোনো মারামারি ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়। তারপরও সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। তার হাত ভেঙে দিয়েছে। আমরা সন্ত্রাসের কাছে অসহায়, এখন আর কী করব? পড়ে পড়ে মার খাওয়া ছাড়া আমাদের কী করার আছে।’
ঘটনার পর থেকে অভিযোগ ওঠা সন্ত্রাসীদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্রঃ প্রথম আলো