সিরিয়ায় মুরতাদ শিয়া সরকার বিরুধী গৃহযুদ্ধে থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধ এখন রূপ নিয়েছে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী ও আন্তর্জাতিক এক যুদ্ধে ক্ষেত্রের। যেখানে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের চেয়ে বেসামরিক লোকদেরকেই বেশি প্রাণ দিতে হচ্ছে।
ক্ষমতা ও নিজেদের আদর্শকে মুসলিমদের উপর চাপিয়ে দিতে সব ধরণের অবৈধ পদ্ধতিই ব্যাবহার করছে তারা। ব্যারেল বোমা থেকে শুরু করে তা নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা ও বৃষ্টির মত আকাশ থেকে বোমা হামলা চালানো, যার কোনটিতেই কমতি রাখেনি তারা। এক্ষেত্রে সিরিয়া কুখ্যাত নুসাইরী ও শিয়া সরকার আসাদের তার মিত্র হিসাবে পেয়েছে আফগানিস্তানের ভূমিতে লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র নিরাপরাধ মুসলিমদের হত্যাকারী কুফ্ফার রাশিয়া এবং চরম সুন্নী মুসলিম বিদ্ধেষী মুরতাদ শিয়া প্রধান রাষ্ট্র ইরানকে, তার সাথে যোগ দিয়েছে পৃথিবীর বিভন্ন রাষ্ট্রটের ৩৪টি শিয়া সংগঠন।
এতগুলো হিংস্র হায়নার থাবার কবলে পড়ে সিরিয়ান সাধারণ মুসলিমরা। প্রতিনিয়ত মুসলিম হত্যা ও তাদের বাড়ি-ঘরকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করছে তারা, যার ফলে ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে মারা পড়েন আরো অনেক নিরীহ মুসলিম। জাতিসংঘ বলেন আর মুখে ফেনা তুলা ওয়াইসিই বলেন তারা কেউ এগিয়ে আসেনি তাদেরকে উদ্ধার করতে। তাই বাধ্য হয়ে সিরিয়ানরা নিজেরাই উদ্ধার কাজের জন্য একটি সংস্থা তৈরি করেন। সংস্থাটি এখন “হোয়াইট হেলমেট” নামেই প্রশিদ্ধ।
সংস্থাটির তথ্যমতে, চলিত বছর প্রথম ১৮ দিনে অর্থাৎ ১ই জানুয়ারি থেকে ১৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত রাশিয়া ও শিয়া জোটের হামলায় ৭৯ জন নিরাপরাধ মুসলিম ও সংস্থাটির কয়েকজন কর্মী নিহত হন। যাদের মাঝে ২৩ জন শিশু ও ৯ জন নারীও রয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরো কয়েক শতাধিক বেসামরিক নাগরিক।
রাশিয়া ও শিয়া জোট তাদের নাচের পুতুল হিসাবে ব্যাবহার করছে তুরষ্ককে। এ পর্যন্ত রাশিয়া ও শিয়াজোট আস্তানা ও সোচী চুক্তিসহ বহুবার নিজেদের করা যুদ্ধবিরোধী চুক্তিকে ভঙ্গ করেছে। আর এসব চুক্তির অপরপক্ষ তুরস্ক, (ইদলিবের কথিত গ্যারান্টর) রাশিয়া ও শিয়াজোটের এহেন ভন্ডামীকে চরম অপমানকে শুধু নিরবে প্রত্যক্ষ করে গেছে। এরপরেও এরা ইদলিব নিয়ে কাগজে কলমে শান্তিচুক্তি করে, কিন্তু তা ইদলিবের মজলুম মুসলিমদের কোনো কল্যাণে আসে না। মূল কথা হচ্ছে এটাই যে, কুফ্ফার জোটগুলো এরদোগান (তুরষ্ক)কে নিজেদের খেলার পুতুল বানিয়ে নিয়েছে, যখনই প্রয়োজন পড়ে এই পুতুলকে দিয়ে বিশ্বকে ধোকা দেয়, প্রয়োজন শেষে ফেলে দেয়, আর পুতুল তার নিজ অবস্থাতেই পড়ে থাকে।