হোম উপমহাদেশ পাকিস্তান | শাইখ আবু মুহাম্মাদ খালিদ হাক্কানি রহ. এর শাহাদাতের ব্যাপারে তেহরিক-ই-তালিবান... শাইখ আবু মুহাম্মাদ খালিদ হাক্কানি রহ. এর শাহাদাত সম্পর্কে উম্মাতে মুসলিমাকে মোবারকবাদ জানিয়ে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান তাদের অফিসিয়াল “উমার মিডিয়া” হতে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে ।
গত ৩১ জানুয়ারি উমার মিডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত উক্ত বিবৃতিটিতে জানানো হয়, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মজলিশে শূরার প্রধাণ (শীর্ষ নেতা) শাইখ খালেদ হাক্কানি রহ. কিছু দিন পূর্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে সফরে বের হন। তখন ক্রুসেডার আমেরিকার গোলাম মুরতাদ বাহিনীর সাথে হওয়া এক সংঘর্ষে শাহাদাত বরণ করেন এই মহান ব্যাক্তি এবং তাঁর সাথী কারি সাইফুল্লাহ পেশাওয়ারি রহিমাহুমুল্লাহ। (نحسبھما کذالک واللہ حسیبھما)
শাইখ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক মহান সম্পদ ছিলেন। তিনি তাঁর ইলমী দক্ষতার কারণে প্রত্যেক আলেমের কাছে ছিলেন সুপরিচিত একজন মুহাক্কীক আলেম। এর আগে তিনি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের নায়েবে আমীর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি মুসলিম উম্মাহর সামনে গণতন্ত্র ও অন্যান্য ভুয়া ব্যাবস্থাপনার আসল চেহারাকে সঠিক গবেষণা ও সহজলভ্য উপায়ে উপস্থাপন করেছিলেন এবং তথাকথিত ইসলামী গণতন্ত্রের পণ্ডিতদের দাঁতভাঙা উত্তর এবং পাকিস্তানে জিহাদের বিরুদ্ধে উঠে আসা একাধিক আপত্তির শরয়ী, আকলী ও মান্তেকী ভাষায় চমৎকার জবাব দিয়েছিলেন। এসকল বিষয়ে জবাব দেওয়ার পাশাপাশি তিনি “পয়গামে পাকিস্তান” এর জবাবে একটি বইও লিখেছেন, যা রচনার পর্যায়ে চলছে এবং শিগগিরই প্রকাশিত হবে। ইনশাআল্লাহ্
তিনি অত্যন্ত সুন্দর চরিত্রের অধিকারী, আন্তরিক এবং অত্যন্ত বিনয়ী ও সাহসী প্রকৃতির একজন সাধারণ লোক ছিলেন, তিনি এতটাই স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতেন যে, যখন কোন সাধারণ পরিষদে বসে আলেম এবং সাধারণ মানুষের মাঝে নসিহাহ বা বয়ান করতেন, তখন পরিচয় দেওয়া ছাড়া অপরিচিত কেউ বুঝতেই পারেন না যে তিনি শেখ খালিদ ছিলেন। অথচ যার একাডেমিক/ইলমী দক্ষতা তাদের নিজস্ব হিসাবেও স্বীকৃত।
জিহাদী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হওয়ার পর আল্লাহ তিনাকে এক বিস্ময়কর অন্তর্দৃষ্টি দিয়েছিলেন, যাতে তিনি আল্লাহর সাহায্যে কঠিন সমস্যার সমাধান অনেক সহজেই করতে পারতেন।
আল্লাহ তা’আলা তাকে দ্বীনি ও পার্থিব জ্ঞানের অদ্ভুত অ্যাক্সেস দিয়েছিলেন। তাকে যখন আলেমদের সভায় বসিয়ে দেওয়া হত, তখন বড় বড় আলেমগণ তার ইলমী আলোচনা শুনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তেন এবং বাহ বাহ দিতে থাকতেন।
আর যখন সাংবাদিকদের সাথে বসে কথা বলতেন, তখন তারা মনে করত উনিতো সম্ভবত আমাদের মাঠেরই লোক।
তিনি সাধারণ মানুষদের সাথে এতটাই মিশতেন যে, সাধারণ মানুষ তাকে নিজেদের বন্দু মনে করতো, এবং মন খোলে নিজেদের সমস্যার কথা ও দ্বীনি মাসআলা জিজ্ঞাস করতো, আর তিনিও তার শরয়ী সমাধান ও জবাব দিতেন।
তিনি এতটাই প্রখর মেধা ও স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন যে, তিনি যেন দ্বীনি ইলম ও ফতোওয়ার একটি চলমান এনসাইক্লোপিডিয়া ছিলেন। কোন মাসআলা বলার জন্য দ্বিতীয় বার কোন কিতাব তাকে দেখতে হয়নি বরং বলার সময় বলে দিতেন এই মাসআলা অমক কিতাবের অমক পৃষ্ঠার অমক পেরায় রয়েছে।
তিনি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে সংগঠিত ও শক্তিশালীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, মত-পার্থক্য ও সমস্যা নির্মূলে এবং আন্দোলনকে সংগঠিত করতে ও আন্দোলনের আদর্শিক ভিত্তিকে শক্তিশালীকরণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান এই প্রতিশ্রুতি করছে যে শহিদ শাইখ খালিদ হাক্কানি রহিমাহুল্লাহ্ এর জিহাদি ও আদর্শিক মিশন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবো, আমরা শাইখের সাথে সাক্ষাত (শহিদ) না হওয়া পর্যন্ত এর ধারা অব্যাহত রাখবো। যতদিন না আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন পরিপূর্ণতা পায়। ইনশাআল্লাহ..