তামাকের কারণে বছরে প্রাণহানি হয় পৌনে ২ লাখ

0
837

তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

টোব্যাকো এটলাস ২০১৮র উদ্ধৃতি টেনে তিনি বলেন, ধূমপানের কারণে বাংলাদেশে ১২ লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকাল পঙ্গুত্বের শিকার হন। তামাকজনিত রোগব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জাতীয় আয়ের ১.৪ শতাংশ।

বিভিন্ন তামাকজাত দ্রব্যের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, Impact of Tobacco Related Illness in Bangladesh শিরোনামে ২০০৪ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, তামাক সেবনের কারণে ১২ লাখ মানুষ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে ফুসফুস ক্যান্সার ও ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পলমনারিডিজিজ (সিওপিডি); যা প্রধানত ধূমপান ও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে হয়। মুখ গহ্বরের ক্যান্সার- যা প্রধানত ধোঁয়াবিহীন বিভিন্ন তামাক সেবন, পানের সঙ্গে জর্দ্দা বা সাদাপাতার ব্যবহার এবং মাড়িতে গুল ব্যবহারের কারণে হয়। এছাড়া ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবনের ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, বার্জাজ ডিজিজের মতো রোগও হয়।

তিনি বলেন, তামাক হচ্ছে এমন একটি ক্ষতিকর পণ্য, যা উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন- প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতির ক্ষতি করে। ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন- দুটিই ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী নেশা। পরোক্ষ ধূমপান অধূমপায়ীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করে। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে ও মৃত্যু বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অর্থনীতিতেও তামাকের প্রভাব অত্যন্ত নেতিবাচক। The Economic Cost of Tobacco Users in Bangladesh : A Health Cost Approach শিরোনামে ২০১৮ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে ১৫ লাখের অধিক প্রাপ্তবয়স্ক নারী ও পুরুষ তামাক সেবনের কারণে এবং ৬১ হাজারের অধিক শিশু পরোক্ষ ধূমপানের প্রভাবে প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। এতে আরও বলা হয়, তামাকজনিত রোগব্যাধি ও অকাল মৃত্যুর কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জাতীয় আয়ের ১.৪ শতাংশ।

সূত্রঃ মানবকণ্ঠ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরকারি যেকোন মিটিংয়ে অংশ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালেন দেওবন্দের মুহতামিম
পরবর্তী নিবন্ধএক মাসেই নিখোঁজ বাকৃবির দুই শিক্ষার্থী