চট্টগ্রাম বাঁশখালী উপজেলার বাহারচরা ইউপির রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে হিন্দু শিক্ষক পবিত্র ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছে। ছাত্রদের পাঠদানকালে উক্ত স্কুলের শিক্ষক শিবানন্দ দেব (৩৩) ইসলাম ধর্মকে উগ্রবাদী ধর্মসহ বেশকিছু আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় মালাউন শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বাঁশখালী বাহারচরা এলাকায় তৌহিদী জনতা কয়েক দফা বিক্ষোভ করেছে।
জানা যায়, গত ৫ মার্চ ধর্মীয় শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে তার ক্লাসের সময়ে শিবানন্দকে বাংলা ক্লাস নেয়ার জন্য পাঠান বিদ্যালয়ের আরেক সিনিয়র শিক্ষক স্বপন কান্তি দাশ। এ সময় ক্লাসে ছাত্রদের ইসলাম শান্তির ধর্ম নয়; বরং সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদি ধর্ম বলে নানা আপত্তিকর মন্তব্য করে। এতে ছাত্ররা আপত্তি জানালে ওই শিক্ষক ক্লাস থেকে চারজন ছাত্রকে বের করে দেয় এবং অকথ্য ভাষায় ইসলাম ধর্মের প্রতি তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও কটূক্তি করতে থাকেন।
‘পৃথিবীর কোনো গ্রন্থে ইসলাম শান্তি ধর্ম তা লেখা নেই’ এমন মন্তব্য করলে উক্ত স্কুলের ছাত্র রাকিবসহ কয়েকজন ইসলামশিক্ষা বই থেকে তাকে পাল্টা উদ্ধৃতি দিয়ে দেখায়। এতে শিক্ষক শিবানন্দ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে নানা বাজে মন্তব্য করতে থাকেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বাঁশখালী বাহারচরা এলাকায় কয়েক দফা বিক্ষোভ হয়েছে।
বাহারচরা ইউনিয়ন মুসলিম ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা তৈয়্যব বিন মুখতার ইসলাম টাইমসকে জানান, এবিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনা এটাই প্রথম নয়। বিভিন্ন সময় এবিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করা হয়।গত ৫ মার্চ-এর এঘটনায় স্কুলের ছাত্ররা এলাকায় বিক্ষোভ করেন। স্থানীয়রা জনতাও বিক্ষুদ্ধ হয়ে আছেন হিন্দু শিক্ষকের এবিষোদাগারে।
গতকাল (১৪ মার্চ) শনিবার বাহারচরা ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলিমের অংশগ্রহণে বাঁশখালী উপজেলার বাহারচরা রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা ও বাহারচরা ইউনিয়ন মুসলিম ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ করেন।
বাঁশখালী থানার দায়িত্বরত ওসি রেজাউল করিম মজুমদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইসলাম টাইমসকে বলেন, বাহারচরা স্কুলে ইসলাম নিয়ে কটূক্তির কথা আমরা বিভিন্ন পোর্টলে পেয়েছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেখেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।