‘বাবারে, পেটে তো লকডাউন হয় না’

0
992
‘বাবারে, পেটে তো লকডাউন হয় না’

সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে সাপ্তাহিক হাট-বাজার বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে উপজেলা।

বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় দোকানপাট বন্ধ থাকায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। এরই মধ্যে ভিন্নচিত্র চোখে পড়ে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতাপনগর গ্রামে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় নুরুদ্দিন মিয়ার দোতলা বাড়ির ছাদঢালাইয়ের কাজ চলছে। প্রায় ৩০-৩৫ জন নির্মাণশ্রমিক ছাদঢালাইয়ের কাজ করছেন। নুরুদ্দিন মিয়ার সন্ধান করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্মান শ্রমিক বলেন, বাবারে, পেটে তো লকডাউন হয় না। কাজ না করলে খামু কি? পরিবারের সবাই অনাহারে মারা যাবে। সবাই শুধু মুখোশ আর হাতধোয়ার ঔষুধ দেয়, পেটে দেয়ার মতো খাবার তো কেউ দেয় না।

শ্রমিক সর্দার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সারাদেশে লকডাউন চললেও সাধারণ অসহায় ও দিনমজুরদের জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। এ ছাড়া কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও কারো জন্য কোন রকম খাদ্যদ্রব্য নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। এ অবস্থায় দিনমজুর শ্রেণির লোকেরা করোনা আগেই না খেয়ে মারা যাবে।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাথরখনি লকডাউন, বেতনের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট শ্রমিকদের
পরবর্তী নিবন্ধমহা সংকটেও কিস্তি আদায় ছাড়ছে না এনজিওগুলো