হাতে কাজ নেই, কেউ তো খাবার দেয়না, আমরা খাব কী?

0
1090
হাতে কাজ নেই, কেউ তো খাবার দেয়না, আমরা খাব কী?

হাতে কাজ নেই, ঘর থেকে বেরোনো নেই , আমরা দিনমজুর কাজ না করলে পেটে ভাত যায়না, এম,পি, চেয়ারম্যান মেম্বার কেউই এক ছটাক চাউল দেইনি আমরা এখন কিভাবে বাঁচবো? যুবকণ্ঠের এ প্রতিবেদককে কথাগুলি বলছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে দারিদ্রতমজেলা কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি মোফাছ মিয়া।

এই অভিযোগ ওই গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি ও দিনমজুর তাজাম,মোকছেদ,ওয়াচ,আজিজুল,সাইদুল মানিক ও মোত্তালেবের ঘরে বেশ কিছুদিন থেকে বন্দি থাকলেও তাদের কাঠে পৌঁছায়নি সরকারী বা বেসরকারী কোন খাদ্য সহায়তা।

আপরদিকে ওই ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের কোল ঘেষে বসবাস করা দিনমজুর দরিদ্র রোকেয়া,মমিনা,ফিরোজা,জবেদা,ভারতী রানিও এখন সরকারী বেসরকারী কোন সহায়তা পাননি বলে জানান।

এছাড়া ওই ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের সুরজা,আকুল,জলিল,আজিজুল,মেহেরবান,মানিকসহ কেউই এখনও কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি বলে জানান।

সুরজা বেগম এ প্রতিবেদককে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, দিন আনি দিন খাই। গত ১০/১৫ দিন থেকে একপ্রকার খেয়ে না খেয়ে বাড়িতে পড়ে আছি। তিনি সরকার ও বিত্তবানদের কাছে খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন।

এখন তাদের প্রাণের দাবী তারা দ্রুত সরকারী বা বিত্তবানদের কাছ থেকে খাদ্য সামগ্রি সাহায্য চান।

করোনার কারণে বিশেষ করে গ্রামের প্রতিটা মানুষ চরম কষ্টে। বিশেষ করে বেশি কষ্টে আছে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ বয়বৃদ্ধরা।

এ প্রতিবেদক তার নিজের গ্রাম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চন্ডিপুরের ২০০ টি পরিবারের প্রায় প্রতিটি ঘরে গিয়ে মানুষগুলোর অসহায়ত্ব দেখেছে। অনেকের কান্নাও দেখেছে। এখন এই অসহায় মানুষগুলোর জরুরি খাদ্য সামগ্রি দরকার।

এ ব্যাপারে কথা হলে ওই ইউনিয়নের চন্ডিপুরের মেম্বার( ইউ,পি সদস্য) মুকুল মিয়া বলেন, বরাদ্ব অল্প তাই সকলকে দেয়া সম্ভব হয়নি।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: আমি নিজে আমার গ্রাম কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ চন্ডিপুরে প্রায় প্রতিটি ঘরে গিয়ে মানুষগুলোর অসহায়ত্ব দেখেছি। অনেকের কান্নাও দেখেছি।

বিশেষ শিশুগুলো অনেক অনেক কষ্টে! তাদের কান্না দেখে নিজেও কেঁদেছি। বলবার কিছু নেই। পেট কি আর লকডাউন বা ঘরে থাকা বোঝে? আমি আজ আমার গ্রামের যতটা বাড়ি ঘুরেছি কেউই এখন পযন্ত সরকারী বা বেসরকারী কোন সহায়তা পাননি!

সূত্র : যুবকণ্ঠ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই লাখ কওমি শিক্ষকদের নিয়ে ভাববার কেউ আছে কি?
পরবর্তী নিবন্ধমালাউনদের নতুন চক্রান্ত: দিল্লিতে করোনার জন্য মুসলিমদেরকে দোষারোপ