বিশ্বের অনেক দেশের মতোই ভারতেও চলছে লকডাউন। কিন্তু মালাউন মোদি সরকারের অপরিকল্পিত লকডাউনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে দেশটির যোগান শৃঙ্খলা। বাজার খোলা থাকলেও খাদ্য পরিবহণ ব্যবস্থাও থেমে আছে। এ কারণে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, লকডাউনের প্রকোপে খাদ্য সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে ভারত।
ভারতে এখন এক রাজ্যের পণ্য অন্য রাজ্যে পাঠানো বন্ধ রয়েছে। যোগান শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ায় মানুষ কৃত্রিম খাদ্য সংকটে পড়তে যাচ্ছে। লকডাউনের কারণে জমিতে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। কৃষি শ্রমিকরা নিজ রাজ্যে ফিরে যাচ্ছে। ফলে ফসল তোলাও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফসল কাটার পরে তা প্রস্তুত করতে হবে, বাজারে নিয়ে যেতে হবে। এসবের জন্য ফের শ্রমিক প্রয়োজন হবে, প্রয়োজন হবে গাড়িচালক ও নিরবচ্ছিন্ন চলাচল।
লকডাউনের পূর্বে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কাছে ৭৭.৬ মিলিয়ন টন গম ও চাল রয়েছে বলে জানিয়েছিল। ১৯ মার্চের হিসেবে মজুত খাদ্যবীজ ছিল ২.২৫ মিলিয়ন টন। তবে সমস্যা হলো, উৎপাদিত পণ্য ও তার ক্রেতারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আলাদা রাজ্যের হন। বিহার জানিয়েছে, আমরা চাল পাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে, ডাল পাই মধ্যপ্রদেশ থেকে এবং সরষের তেল পাই রাজস্থান থেকে। কিন্তু লকডাউনের ফলে এই সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্যের সীমানা যেহেতু বন্ধ, সে কারণে পরিবহণ আর মসৃণ নেই ভারতে।
ভারতের কৃষি উৎপাদনের পরিবহণ নিয়ে দেশটির গণমাধ্যমের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আন্তঃরাজ্য ট্রাক চলাচলের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার জেরে রাজ্যের সীমান্তে সীমান্তে দাঁড়িয়ে পড়ছে পণ্য বোঝাই ট্রাক। এক রাজ্যের টমেটো, আরেক রাজ্যের বেগুন গাড়িতেই নষ্ট হচ্ছে। ফলে দ্রুতই এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যাতে কৃষি পণ্য চাষির ঘরে পচে যাচ্ছে আর অন্যদিকে বাজারে জোগানের সংকট তৈরি হচ্ছে। ছোট ও শহর ও পিছিয়ে থাকা জায়গায় আরো বড় সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে কারণ যেখানে ছোট ছোট বাজারের মাধ্যমে সামগ্রী পৌঁছায়। যোগান শৃঙ্খলের সমস্যায় যুক্ত হয়েছে ট্রাক ড্রাইভারদের পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, কৃষিপণ্য প্যাকিংয়ে এবং মাল তোলা ও মাল নামানোর জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিকদের অনুপস্থিতিতে। লকডাউন এবং কোয়ারান্টিনের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই কৃষকেরা বাজার পর্যন্ত খাদ্যশস্য পৌঁছতে পারছেন না।
সূত্র: দ্য ওয়্যার।