এবার ত্রাণ দেওয়ার নামে দিনমজুরের মেয়েকে ধর্ষণ করলো আওয়ামী মেম্বার!

2
1400
এবার ত্রাণ দেওয়ার নামে দিনমজুরের মেয়েকে ধর্ষণ করলো আওয়ামী মেম্বার!

বরগুনার তালতলীতে করোনা ভাইরাসের কারণে বেকার হয়ে খাদ্য সংঙ্কটে পড়ে একটি দিনমজুর পরিবার। আর সেই সুযোগে ঐ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার নাম তালিকাভুক্তি করার জন্য স্থানীয় আওয়ামী ইউপি সদস্য আনোয়ার খান দিনমজুর সোবাহানের মেয়েকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগি পরিবার সূত্রে বার্তাসংস্থা ‘মানবজমিন’ জানায়, উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়ের পূর্ব বাদুরগাছা এলাকার দিনমজুর সোবাহান করোনা ভাইরাসের কারণে কোনো কাজকর্ম না করতে পারায় তার পরিবার খাদ্য সংঙ্কটে পড়ে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে গত ৬ এপ্রিল সোমবার জানালে ঐ আওয়ামী সন্ত্রাসী মেম্বার ঐ দিনমুজুরের মেয়েকে ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে আসতে বলে। পরেদিন ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ঐ দিনমজুর সোবাহানের বিবাহিত মেয়ে ইউপি সদস্যের বাড়িতে গেলে এই সুযোগে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আওয়ামী মেম্বার। এ সময় ঐ মেয়ের স্বামী ইসরাফিল ইউপি সদস্যের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি দেখে ফেলেন। এই ঘটনা কাউকে বললে খুন করার হুমকি দেয় সন্ত্রাসী আওয়ামী মেম্বার।পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ভুক্তভোগি দিনমজুর পরিবারকে থানায় মামলা করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়।

পরের দিন স্বামীকে তুলে নিয়ে যায় আওয়ামী ইউপি সদস্য। আজ ৮ এপ্রিল বুধবার পর্যন্ত স্বামী ইসরাফিলের কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি আর ঐ দিনমজুর পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে জানান তারা। এদিকে ইউপি সদস্যের এমন কর্মকাণ্ডে হতবাক এলাকাবাসী। বিচারের দাবি করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
অভিযুক্ত আনোয়ার খান তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি।
বাবা সোবাহান বলেন আমি দিনমজুরের কাজ করি। এই করোনা ভাইরাসের কারণে আমি অসহায় দিনযাপন করছি। এর ভিতরে আমার মেয়ে তার স্বামী ইসরাফিল কে নিয়ে বেড়াতে আসেন বাড়িতে। এর ভিতরে আমার সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়। স্থানীয় মেম্বার আনোয়ার খানের কাছে গেলে সে আমার মেয়েকে তার ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে তার বাড়িতে যেতে বলে। পরে বিকেলের দিকে তার বাড়িতে আমার মেয়ে গেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় মামলা করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয় সে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল বাশার বাদশা তালুকদার বলে, নিউজ করার দরকার নেই আপনাদের সাথে যোগাযোগ করা হবে!
তালতলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলে, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি এখনি। আর অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এভাবে, দেশে যখন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, লকডাউনের কারণে দেশের কোটি কোটি গরীব মানুষ আজ অসহায়, ক্ষুধার্ত; তখন দেশের এই অসহায় জনসাধারণের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। কখনো ত্রাণ দেওয়ার নামে পিকচার তুলে সেই ত্রাণ কেড়ে নিয়ে অসহায়দের সাথে তামাশা করছে, আবার কখনো ত্রাণ দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করছে সন্ত্রাসী আওয়ামী বাহিনী।

2 মন্তব্যসমূহ

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাশ্মিরে স্বাধীনতাকামীদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ভারতীয় মালাউন কমান্ডো দলের সব সন্ত্রাসী নিহত
পরবর্তী নিবন্ধকরোনায় জেরে হজ নিবন্ধনের সময় ফের বাড়ল