টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দ পাড়ায় সিঁদ কেটে চুরি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়েছে ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহীন খান (৪২)। পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। শাহীন সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দপাড়ার মৃত ছামু খানের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি।
রাইজিং বিডি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাশেম মিয়ার বাড়িতে সিঁদ কেটে চুরি করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, সহবতপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শাহীন অনেক দিন যাবৎ চুরি করছে। সে একজন দাগী চোর। এর আগে একাধিক বার চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরাও পড়েছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগও রয়েছে। এলাকাবাসী তার উৎপাত থেকে রেহাই পেতে ভোট দিয়ে তাকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত করে। মেম্বার হওয়ার পর কিছুদিন ভালো চললেও আবার তার উপদ্রব বেড়ে গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা হাশেম মিয়ার ছেলে ওসমান গনি বলেন, আমি শুক্রবার দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের জমিতে ইরিস্কিম থেকে জমিতে পানি দিয়ে বাড়িতে এসে টর্চের আলো জ্বালালে চোর শাহীনকে দৌড় দিতে দেখি। এসময় আমি ও আমার পরিবারের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে পালানোর সময় তাকে ধরে ফেলে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে গ্রামবাসী শাহীনকে পিটিয়ে গাছের সাথে বেঁধে পুলিশকে খবর দেয়।