শাস্তি হিসেবে দোররা বা চাবুক মারার বিধান বিলুপ্ত করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও বিবিসির কাছে আসা আইনি নথিপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সৌদি আরবের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়, ইসলামি নিয়মে অপরাধীর চাবুক মারার পরিবর্তে কারাদণ্ড বা জরিমানার মত শাস্তি দেওয়া হবে।
সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি সংস্কার করতে চান বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তাদের ইচ্ছাতেই আইনে এমন পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
মুহাম্মদ বিন সালমান ইতিপূর্বে পবিত্র ভূমি আরবে বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। পবিত্র ভূমিতে নাপাক সিনেমা হল চালুসহ ওপেন কন্সার্টের নামে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাস্তবায়নসহ নানা অপকর্ম চালু করেছে।
এইসব পশ্চিমা কুফরি সংস্কৃতি চালু করার জন্য বেছে নিয়েছে নির্যাতনের স্ট্রিম রুলার। যেই বিরোধীতা করবে তাকেই সহ্য করতে হবে গুম খুন বা বন্দীত্ববরণ ও জুলুম। ইতোমধ্যে শত শত সত্যনিষ্ঠ আলেম উলামাকে গ্রেফতার করে নিক্ষেপ করা হয়েছে নির্জন কারাপ্রকোষ্ঠে। হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য আলিম ও বিশিষ্ট দ্বায়ী ব্যক্তিবর্গকে।
লোহিত সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে “নিউম” নামের পশ্চিমা বেশ্যালয় চালুর জন্য নিজ ভূমি ছেড়ে দিতে অস্বীকার করায় সৌদি দালাল প্রশাসন আবদুল রাহিম আল-হাওয়াইতি নামে সৌদি নাগরিককে নির্মমভাবে শহীদ করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। যার একটি বিশেষ প্রতিবেদন ২২ এপ্রিল আল-ফিরদাউস নিউজেও উঠে আসে।