কাশ্মীর | ভারতীয় মুশরিক বাহিনীর সাথে চলছে এজিএইচ এর জানবায মুজাহিদদের তীব্র লড়াই…

2
1917
কাশ্মীর | ভারতীয় মুশরিক বাহিনীর সাথে চলছে এজিএইচ এর জানবায মুজাহিদদের তীব্র লড়াই…

দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার
মেলহুরা গ্রামে চলছে নাপাক ভরতীয় মুশরিক বাহিনীর সাথে আনসার গাজওয়াতুল হিন্দের জানবায মুজাহিদদের তীব্র লড়াই।

কাশ্মীর ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা “কেএনও” এবং “এজিএইচ” সমর্থিত কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম হতে জানা যায় যে, গত ২৮ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলার জয়নাপোড়া এলাকার মেলহুরা গ্রামে ভারতীয় মুশরিক সৈন্যদের বিরুদ্ধে এক তীব্র লড়াই শুরু হয়। ভারতীয় মুশরিক বাহিনী হতে জানানো হয় যে এখন পর্যন্ত এই লড়াইয়ে তাদের ২ সেনা কর্মকর্তা আহত হয়েছে, অন্যদিকে ৩ জন মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করেছেন।

আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ সমর্থীত সংবাদ মাধ্যমগুলো হতে জানা যায় যে, গতাকাল যখন অভিযান শুরু হয় তখন এ.জি.এইচ এর ডিপুটি শাইখ
আবুর বকর শপিয়ানী (বুরহান কোকা) হাফিজাহুল্লাহ্ সহ বেশ কয়েকজন মুজাহিদ ভারতীয় মুশরিক বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে তুমুল লড়াইয়ের পর বেশ কয়েকজন মুজাহিদ অবরুধ হতে বের হতে সক্ষম হন। এরপর দীর্ঘ ৩৮ ঘন্টা লড়াইয়ের পর ভারতীয় মুশরিক বাহিনী ৩ জন মুজাহিদকে শহিদ করার দাবী করে।

আনসার গাজওয়াতুল হিন্দ সমর্থিত সংবাদ মাধ্যমগুলো ধারাণা করছে যে, এই অভিযানে এ.জি.এইচ এর ডিপুটি ১)
আবুর বকর শপিয়ানী (বুরহান কুকা) ২) কমান্ডার বিলাল ও ৩) আম্মার ভাই শাহাদাত বরণ করেছেন। কেননা তাঁরা এখনো নিরাপদ অবস্থানে ফিরতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে (২২ এপ্রিল) একই গ্রামে ভারতীয় মুশরিক বাহিনীর সাথে দীর্ঘ ১৬ ঘন্টার এক লড়াইয়ে শাহাদাত বরণ করেন এজিএইচ এর ৪ জন জানবায মুজাহিদ। বিপরীতে ভারতীয় মুশরিক বাহিনীর কয়েক ডজন সৈন্য হতাহতের কথাও জানায়
এজিএইচ অসমর্থিত সংবাদ মাধ্যমগুলো, যদিও ভারতীয় মুশরিক বাহিনী তাদের হতাহতের কোন সংখ্যাই প্রকাশ করেনি।

এরপর গত ২৬ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরে ভারতীয় মুশরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আরো একটি অভিযান পরিচালনা করতে হয় আনসার গাজওয়াতুল হিন্দকে। জানা যায় যে, দীর্ঘ ৪ ঘন্টা যাবৎ চলতে থাকে উভয় বাহিনীর মাঝে উক্ত লড়াই। এতে এজিএইচ এর ৩ জন মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করেন। বিপরীতে মুজাহিদদের হামলায় নিহত হয় ভারতীয় ৬ মুশরিক সৈন্য এবং আহত হয় আরো ৩ এরও অধিক।

এরপর গত ২৮ এপ্রিল আবারো এজিএইচ ও ভারতীয় মুশরিক বাহিনীর মাঝে তীব্র লড়াই ছড়িয়ে পড়ে।

সংবাদ সংস্থা “কেএনও” থেকে জানা যায় যে, ভারতীয় মুশরিক বাহিনীর স্পেশাল 55 RR বাহিনী সহ তাদের কয়েকটি সেনা ইউনিট এখনো উক্ত এলাকাটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

2 মন্তব্যসমূহ

  1. আমরা গাজওয়াতুল হিন্দের জন্য কেমন এবং কি কি প্রস্তুতি নিতে পারি, আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে জিহাদ ফিসাবিলিল্লায় অংশগ্রহণ করার তাওফিক দান করুক আমিন

Leave a Reply to Mohammad Nuruddin প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআল-ফিরদাউস সাপ্তাহিকী || সংখ্যা : ১৭ || এপ্রিল ৪র্থ সপ্তাহ, ২০২০ ঈসায়ী ||
পরবর্তী নিবন্ধশরীয়তপু‌রে চাল চু‌রি করে ধরা ইউপি চেয়ারম্যান