বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহেদুর রহমান উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিত্তশালী পরিবারের সদস্যদের কার্ড বরাদ্দ, ঘর নির্মাণের প্রলোভনে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশেষ বরাদ্দের চতুর্থ ধাপে ওই ওয়ার্ডের মাস্টাররোলের তালিকার ক্রমিকে ৭৫ নম্বরে থাকা জিয়াউর রহমান জানান, তিনি কোনও চাল পাননি; টিপসই তার নয়। দ্বিতীয় ধাপের মাস্টাররোলের তালিকায় ৬৬ নম্বরে থাকা রাজমিস্ত্রি শাহীন জানান, তার সংসারে খুব অভাব; কিন্তু তিনি চাল দেওয়ার বিষয়টি জানেন না এবং টিপসই তার নয়। তালিকার ৭৯ নম্বরে থাকা আসমা বেওয়া ও ৮২ নম্বরে থাকা সাহেব বাদশাহ পাঁচ বিঘার বেশি জমির মালিক। একই ওয়ার্ডের শোভা প্রামাণিক জানান, ঘর করে দেওয়ার নামে ইউপি সদস্য উজ্জ্বল অনেকদিন আগে তার কাছে এক হাজার টাকা নিয়েছেন। তিনি আজও ঘর পাননি। একই দাবি করেছেন, বৃদ্ধা মালেকা বেওয়া। এক ঘরে ঠাসাঠাসি করে তারা আট সদস্য থাকেন। পরের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আজ পর্যন্ত ঘর পাননি; ইউপি সদস্য টাকাও ফেরত দেননি।খবর: বাংলা ট্রিবিউন
তবে ইউপি সদস্য জাহেদুর রহমান উজ্বল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো দৃঢতার সঙ্গে অস্বীকার করে বলেন, ফুলকোট মণ্ডলপাড়ার শাহীনকে চাল দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, একই নামে ফুলকোট বামনদীঘিপাড়ায় আরেকজন রয়েছেন। এসব নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। তিনি ঘর দেওয়ার নামে কারও কাছে টাকাও নেননি। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।