করোনায় অনাহারী হতে পারে ৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিনি

0
628
করোনায় অনাহারী হতে পারে ৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিনি

মহামারি করোনাভাইরাসে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ খাদ্য সংকটে পড়তে পারেন। লাখো মানুষ তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার কিনতে ব্যর্থ হবেন। ফলে দেশটিতে অনাহারে দিন কাটাতে হবে প্রায় ৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে।

ফুড ব্যাংক, ফুড স্ট্যাম্পস ও অন্যান্য সহযোগিতা না পেলে ক্ষুধার্ত থাকবে এ বিপুল সংখ্যক মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ফুড ব্যাংক নেটওয়ার্ক ফিডিং আমেরিকা এ তথ্য জানিয়েছে।

সর্বশেষ প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় লকডাউনের ফলে অর্থনীতির অচলাবস্থায় ৪ কোটির বেশি মানুষ বেকার ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। এর ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশটির প্রতি চারজন শিশুর একজনের (১৮ মিলিয়ন) এই বছর খাদ্য সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। ২০১৮ সালের তুলনায় এ হার ৬৩ শতাংশ বেশি।

করোনা মহামারির আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল। অন্তত ৩৭ মিলিয়ন মানুষ একটি সক্রিয় ও সুস্থ জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর ঘাটতিতে ছিলেন।

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় অঙ্গরাজ্য ও কাউন্টি ভেদে পার্থক্য রয়েছে। লুইজিয়ানা, আরকানসাস, অ্যালাবামা, মিসিসিপি, নিউ মেক্সিকো, টেক্সাস ও টেনেসিতে ১১ মিলিয়নের বেশি মানুষ ২০২০ সালে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে পারেন। আমাদের সময়

আশঙ্কা করা হচ্ছে, জাতীয় বেকারত্বের হার সাড়ে ১১ শতাংশ হতে পারে। যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৭ দশমিক ৬ পয়েন্ট বেশি। জাতীয় দারিদ্র্যের হার হতে পারে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৪ দশমিক ৮ পয়েন্ট বেশি।

ফিডিং আমেরিকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লেয়ার বাবিনিউক্স-ফন্টেনট বলেন, ‘করোনা মহামারি আমাদের দেশজুড়ে জীবন ও জীবিকায় প্রভাব ফেলে যাচ্ছে। সংকটে থাকা কোটি মানুষ খাদ্যহীনতায় পড়তে যাচ্ছেন।’

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, আজ সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৩৫৮ জন মারা গেছে। এ ছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৮৯ হাজার ৩৬৪ জন।

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅরাজকতার পর ২৫ শহরে কারফিউ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ
পরবর্তী নিবন্ধআগামীকালই আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ