আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখা হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত ইসলামী ইমারতের একটি আদালত দুই ধর্ষক ও রিদ্দাহগ্রস্ত এক জাসূসের উপর হদের বিধান কার্যকর করেছেন।
শাহাদাহ্ নিউজ এজেন্সীর সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুন মধ্য সোমালিয়ার “জালাজদুদ” প্রদেশের ইসলামী আদালত রিদ্দাহগ্রস্ত এক ব্যাক্তির উপর হদের বিধান কার্যকর করার নির্দেশ জারি করেছে। উক্ত ব্যাক্তি রিদ্দাহগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ইমারতে ইসলামিয়া ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে কুফ্ফার বাহিনীর হয়ে তথ্যসংগ্রহ (গোয়েন্দা) এর কাজ করত।
ইসলামি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রদেশটির একটি মাঠে জনসম্মুখে তাকে হত্যা করেন মুজাহিদিন।
এর আগে গত ১৯ জুন, গ্রেপ্তার হওয়া দুই ধর্ষকের উপরেও হদ (শাস্তি) প্রয়োগের নির্দেশ জারি করেছিল উক্ত ইসলামি আদালত।
একজন অবিবাহিতা সতী নারীকে উক্ত ধর্ষকরা ধর্ষণ করে পালিয়ে গেলে ইসলামি আদালতের কাছে বিচার দায়ের করে ঐ সতী নারীর পরিবার। (এক্ষেত্রে কুফরি আদালতের ন্যায় উক্ত পরিবারকে বিচারের জন্য কোন অর্থও খরচ করতে হয়নি)।
বিচার দায়েরের পর ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারের হুকুম জারি করে ইসলামি আদালত, এবং দু’দিনের মাথায় মুজাহিদিন ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে। সকল স্বাক্ষ্য প্রমাণিত হলে ইসলামী আদালত উভয় ধর্ষণকারীকে ১০০টি করে বেত্রাঘাত করার নির্দেশ জারি করে। পরে মুজাহিদগণ “জালহারী” শহরের একটি উন্মুক্ত ময়দানে জনসম্মুখে উভয় ধর্ষককে ১০০টি করে বেত্রাঘাত করেন।
এছাড়াও ইসলামি আদালত উক্ত সতী নারীকে মহরে মিসেল পরিমাণ অর্থ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে ধর্ষণকারীদের, পাশাপাশি উভয় ধর্ষণকারীকে ১ বছরের জন্য উক্ত রাজ্য থেকে দেশান্তর করা হয়।
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন, আল্লাহ এই ইমারতের শক্তিকে আরো বাড়িয়ে দিন, আমীন।
আমিন
আলহামদুলিল্লাহ্, হে আল্লাহ পুরু পৃথিবীতে ইসলামের বিধান চালু করে দেন, আমিন।