বাঁধ নির্মাণে বাধা দিয়ে ভারত সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে নেপাল

2
1330
বাঁধ নির্মাণে বাধা দিয়ে ভারত সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে নেপাল

চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারত সীমান্তে সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে নেপাল। তৈরি করছে সেনা-শিবির (তাঁবু), হেলিপ্যাড।

একইসঙ্গে সীমান্ত সংলঘ্ন ভারতের বিহার রাজ্যে বাঁধ নির্মাণে বাধা দিয়েছে দেশটি।

গত সপ্তাহে ভারতের কিছু অংশ যুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপাল। বৃহস্পতিবার এটি দেশটির সংসদেও অনুমোদন পেয়েছে। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্য উত্তেজনা বেড়েছে।

সংঘাতে এক ভারতীয় নাগরিকও মারা গেছে। এখন থেকে নেপালের সরকারি মানচিত্রে ভারতের তিনটি এলাকা দেখা যাবে। কালাপানি ছাড়াও রয়েছে লিপুলেখ, লিম্পিয়াধুরা এলাকা। এ মানচিত্র প্রকাশ করার পরই সামরিক তৎপরতাও শুরু হয়েছে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সীমান্ত বরাবর সেনা বাড়াচ্ছে নেপাল। শুধু তাই নয়, তৈরি করছে ক্যাম্পও। এছাড়া যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হেলিপ্যাড বানানোর কাজও করছে নেপাল।

সেনা তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার বেশ কিছু ছবি হাতে পেয়েছে ভারতীয় সম্প্রচার মাধ্যমটি। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দারছুলা এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্যাম্প বানানোর কাজ শুরু হয়েছে।
প্রতিটি ক্যাম্পে ১২ থেকে ১৩ জন করে নেপাল আর্মি জওয়ান রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এমন পরিস্থিতি আগে তারা দেখেননি। এর আগে কোনোদিনই নেপাল আর্মিকে অন্তত এই সমস্ত জায়গায় দেখা যায়নি।

ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো আরও দাবি করেছে, সীমান্তে ব্যাপকভাবে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে নেপাল। সেনা ক্যাম্প, রাস্তাসহ একগুচ্ছ নির্মাণকাজ শুরু করেছে। নেপাল-চীন সীমান্তেও চলছে নির্মাণকাজ।

কালাপানি থেকে মাত্র ৪০ কি.মি. দূরে একটি পোস্ট বানিয়েছে নেপাল আর্মি। সেখানেও চলছে দেশটির তৎপরতা। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, হেলিকপ্টারে করে সেনা-যন্ত্রপাতি নামানো হচ্ছে।

এদিকে, নেপালের সঙ্গে বিহার রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় বাঁধ নির্মাণে বাধা দিয়েছে নেপাল। ভারতের বিহার সরকারকে সীমান্তে বাঁধ নির্মাণের কাজে বাধা দিয়ে নেপাল ওই অঞ্চল তাদের দাবি করছে।

নেপালের পার্লামেন্টে ভারত নিয়ন্ত্রিত ভূমিসহ দেশের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র অনুমোদনের দু’দিন পরই এ ঘটনার বহিঃপ্রকাশ।

এ ঘটনায় ভারত বলছে, এটি ঐতিহাসিক প্রমাণ ও ঘটনাবলি সমর্থিত নয়। তাই নেপালের এ দাবি তারা প্রত্যাখ্যান করেছে। বিহারের সঙ্গে নেপালের ৭২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে।

ভারতের পানি সম্পদ বিভাগ (ডব্লিউআরডি) কর্তৃপক্ষ বিহারের পূর্ব চাম্পারান জেলার লাল বকেয় নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণে নেপালের বাধা দেয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

2 মন্তব্যসমূহ

Leave a Reply to varot birodhi shokti প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনা সংকটেও মাথাপিছু ২০ কোটি টাকা পাচ্ছেন সংসদ সদস্যরা
পরবর্তী নিবন্ধআল্লাহর অপার অনুগ্রহে করোনা বিপর্যয় থেকে মুক্ত ফিলিস্তিন