আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা “জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন” এর জানবাজ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে মালিতে যুদ্ধ করে যাচ্ছে ২টি দেশ ও জাতিসংঘে ২৬ হাজার ২০০ শতাধিক দখলদার ক্রুসেডার সৈন্য। সেই সংখ্যা এখন আরো বৃদ্ধি করতে চায় ক্রুসেডার বিশ্ব।
“এনওআরএস” এর প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, মালিতে আল-কায়েদার মুজাহিদদের বিরুদ্ধে পূর্ব থেকেই যুদ্ধ করে আসছে ক্রুসেডার ফ্রান্সের ৫১০০ সৈন্য, ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনীর ১১০০ সৈন্য এবং জাতিসংঘ নামক কুফ্ফার সংঘের ১৫ হাজার ক্রুসেডার সৈন্য। আর জাতিসংঘের অধিনে এই যুদ্ধে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ৯ শতাধিক বাংলাদেশী সৈন্য। এছাড়াও রয়েছে কানাডা, ব্রিটেন, জার্মানি সহ ইউরোপিয় আরো অনেকগুলো দেশের কয়েক হাজার সৈন্য। রয়েছে আফ্রিকান ইউনিউন, আমিসোমাসহ আরো কয়েকটি জোটের হাজার হাজার সৈন্য।
দেশটিতে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে এত বিপুল সংখ্যাক দখলদার ক্রুসেডার সৈন্য এবং স্বদেশীয় মুরতাদ সামরিক বাহিনী বৃদ্ধমান থাকা সত্ত্বেও আরো হাজার হাজার ক্রুসেডার সৈন্য বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে ক্রুসেডার বিশ্ব। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে ক্রুসেডার ফ্রান্স। ইতোমধ্যে ব্রিটেন জানিয়েছে যে, তারা চলিত সপ্তাহে দেশটিতে ২৫০ (আড়াইশো) সেনা প্রেরণ করবে এবং ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও গ্রীসসহ ইউরোপীয় আরো অনেকগুলো দেশ নতুন করে এই যুদ্ধে তাদের সেনা প্রেরণ করার কথাও জানিয়েছে। এদিকে মুসলিম দেশগুলোর ক্ষমতার আসনে বসে থাকা তুরষ্ক, সৌদি-আরব, মিসর, আরব ইমারতসহ আরো কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্রও চলিত মাসের শুরুর দিকে জানিয়েছে, তারা এই যুদ্ধে ক্রুসেডার বাহিনীকে অর্থ-সম্পদ ও সামরিক দিক থেকে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।
এদিকে “আফ্রিকা ইনফো” জানিয়েছে, গত ২০ জুন “G5” এর আফ্রিকার সদস্য দেশগুলো নিয়ে একটি বৈঠক করেছে ক্রুসেডার ফ্রান্স। উক্ত কনফারেন্সে আফ্রিকার ৫টি দেশের মুরতাদ শাসক ও সামরিক বাহিনীর প্রধানরা অংশগ্রহণ করেছিলো। তাছাড়াও “ভিডিও কনফারেন্স” এর মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানটিতে অংসগ্রহণ করেছে আফ্রিকার আরো কয়েকটি দেশের সেনা প্রধান, জেনারেল ও কর্নেলরা।
এই কনফারেন্সের আলোচ্য বিষয় ছিলো, পশ্চিম আফ্রিকায় আল-কায়েদার বিজয় অভিযানগুলো যেকোন মূল্য পতিহত করা, এই লক্ষ্যে এখানে আরো অধিক পরিমাণে সেনা সমাবেশ ঘটানো এবং সৈন্যদেরকে বিজয়ের মিথ্যা স্বপন দেখিয়ে এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করা। যাতে চলিত মাসেই নতুন আরো ৩ হাজার সৈন্যকে এই যুদ্ধে নামানো যায়।
উল্লেখ্য যে, আফ্রিকান ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী চলিত মাসের শুরু হতে এখন পর্যন্ত শুধু মালিতে আল-কায়েদা যুদ্ধাদের বিভিন্ন অপারেশন প্রায় ৫ শতাধিক সৈন্য মারাগেছে, যা ২০১৩ সালের পর সবচাইতে বেশি নিহত সৈন্যের তালিকায় রয়েছে। এদিকে আল-কায়েদা যোদ্ধারা ২০১৩ সালের ন্যায় পূণরায় মালির রাজধানী “বামাকো” বিজয়ের লক্ষ্য সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আল-কায়েদা মুজাহিদগণ পাহাড়ি এলাকা থেকে বেড়িয়ে এখন বড় বড় শহরগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং বড় ধরণের অভিযানও পরিচালনা করে আসছে। মুজাহিদদের এই অগ্রযাত্রা আর বিজয় অভিযানগুলো ইউরোপীয় ক্রুসেডার ও আফ্রিকান কুফ্ফার দেশগুলোর জন্য আতংকের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। আর সেই আতংক থেকেই কুফ্ফার রাষ্ট্রগুলো কিছুদিন পরপরই বৈঠকে বসছে এবং এই অঞ্চলে সেনা সমাবেশ করতে বিভিন্ন চুক্তি করছে।
ইনশাআল্লাহ্, কুফ্ফার বাহিনীর সকল চক্রান্তই মহান রবের কৌশলের সামনে ব্যার্থতার রূপ নিবে, এবং পরিশেষে বিজয়ের হাসি মুজাহিদ উম্মাহই হাসবে।
আল্লাহ এক মাত্র আমাদের অভিবাবক ৷কাফের মুশরেক মুনাফিক তাদের কোন অভিবাবক নাই৷ اللهم ا نصر من نصر دين محمد صلي الله عليه وسلم وجعلني منهم
اللهم اخذ ل من خذل دين محمد صلي الله عليه و سلم ولا تجعلنا منهم
ا مين امين امين
أمين ثم أمين
الذين أمنوا يقاتلون في سبيل الله. والذين كفروا.يقاتلون في سبيل الطاغوت فقاتلوا أولياء الشيطان. إن كيد الشيطان كان ضعيفا …
অর্থ,,,,” যাঁরা ঈমানদার তাঁরা আল্লাহর রাস্তায় কিতাল করে , আর যারা কাফের তারা তাগুত্বের পথে লড়াই করে ৷ সুতরাং(হে মুমিনগণ! )তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করো ৷ নিশ্চয় শয়তানের কুটকৌশল অতি দুর্বল ৷”
হে আমার প্রিয় মুমিন ভাইগণ! যদিও বাহ্যিকভাবে আমরা অনেক দুর্বল, কিন্তু রব্বে কারীম বলেছেন, তারাই দুর্বল ৷ কারণ আমাদের সাথে মহান আল্লাহ আছেন ৷ তারা মরলে জাহান্নাম, আমরা জান্নাত ইনশাআল্লাহ