খোরাসান | সমানগানে মুজাহিদদের শহিদী হামলার চূড়ান্ত বিবরণ: নিহত ও আহত ১১৯ গোয়ন্দা ও সেনা সদস্য।

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় সমানগান প্রদেশের রাজধানীতে তালেবান মুজাহিদদের গতকালের দীর্ঘ ৪ ঘন্টার অভিযানে কাবুল সরকারের ৪৭ গোয়েন্দা ও সেনা সদস্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো ৭২ গোয়েন্দা ও সেনা সদস্য।

গতকাল ১৩ জুলাই সোমবার সকাল ১১ টার দিকে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় সমানগান প্রদেশের রাজধানী “আইবাকে” মুরতাদ কাবুল সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ (তথাকথিত জাতীয় সুরক্ষা বিভাগ) এর সদরদপ্তর টার্গেট করে হামলা চালিয়েছেন তালেবান মুজাহিদিন। ইমারতে ইসলামিয়ার শহীদ ব্যাটালিয়নের ৩ জন আল্লাহ্ ভীরু জানবায তালেবান মুজাহিদ উক্ত সফল অভিযানটি পরিচালনা করেছেন। তাঁরা হলেন- হাফিজ মোহাম্মদ কান্দাহারি, বায়তুল্লাহ জাবুলি এবং সাইফ পট্টিকওয়াল)।

তাদের মধ্যে একজন ফিদায়ী মুজাহিদ প্রথমে শক্তিশালী ও ভারী বোমা বিস্ফোরণ ঘটান, ফলে গোয়েন্দা বিভাগের ভিতরে ঢুকার সকল বাধাগুলি ভেঙ্গে পড়ে। পরে অন্য ২ জন ফিদাই মুজাহিদ তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে বিভাগীয় ভবনে প্রবেশ করেন এবং প্রথম ফিদাই মুজাহিদের শহিদী হামলার পরেও বেঁছে যাওয়া অবশিষ্ট মুরতাদ সৈন্য ও গোয়েন্দা কর্মীদের টার্গেট করে হত্যা করতে থাকেন।

এভাবে টানা ৪ ঘণ্টা যাবৎ উক্ত দুই ফিদাই মুজাহিদ সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের হত্যা করতে থাকেন, যতক্ষণ না তাঁরা শাহাদাতের সুমিষ্টীয় পানি পান করেছেন। এই অভিযানে মুজাহিদদের হাতে নিহত হয়েছে মুরতাদ কাবুল সরকারের ৪৭ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও সেনা সদস্য। আহত হয়েছে আরো ৭২ সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

ইমারতে ইসলামিয়ার শহীদ ব্যাটালিয়নের উক্ত ৩ জন মুজাহিদের অভিযানের ফলে বেশিরভাগ গোয়েন্দা ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে, এছাড়াও অনেক ট্যাঙ্ক, সামরিকযান, গাড়ি ও সামরিক সরঞ্জামাদি ধ্বংস এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এটি উল্লেখযোগ্য যে, মুরতাদ কাবুল মরকারের এই গোয়েন্দা কেন্দ্রটি উত্তরাঞ্চলের অনেক প্রদেশের অপারেশন সেন্টার হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। যেখানে থেকে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক হত্যা, বন্দী এবং মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অপারেশন পরিচালনার পরিকল্পনাগুলো করা হতো।