উত্তর প্রদেশে ঈদ-উল-আযহার আগে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। রাজ্যে করোনা সংক্রমণ চলায় সেখানে সপ্তাহে দু’দিন শনিবার ও রবিবার লকডাউন করা হচ্ছে। এবারের ঈদ-উল-আযহা ১ আগস্ট শনিবার পড়ায় মুসলিমদের মধ্যে ঈদ ও কুরবানি নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার উত্তর প্রদেশ পুলিশের মহানির্দেশক হিতেশ চন্দ্র ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে এক নির্দেশনা জারি করেছে। এতে ধর্মীয় স্থানে সম্মিলিত প্রার্থনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া প্রকাশ্যে পশু কুরবানি ও খোলামেলা গোশত বহন বন্ধ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুকি বলেছেন, সরকারি নির্দেশিকার পরে এটা স্পষ্ট যে ঈদে পশু কুরবানিতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু সরকারকে এর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিতে হবে যাতে কোনোভাবেই কুরবানির জন্য মুসলিমদের হয়রানি না করা হয়। কুরবানির জন্য কেবল পশুরই প্রয়োজন হয় না, বরং তা জবাই করতে মানুষজনেরও প্রয়োজন হয়। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের উচিত যারা কুরবানি করবে তাদের আসা-যাওয়ায় যেন বাধা না দেওয়া হয়। মুসলিমদেরও বিধি-নিষেধের বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত।’ তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামী হিন্দ-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ সেলিম ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন, মুসলিম সম্প্রদায় সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করবে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের ওই নির্দেশনা যথাযথভাবে কার্যকর করা প্রয়োজন। আইন আমাদের কুরবানি করার অনুমতি দেয় এবং সরকারি নির্দেশনাতেও তা বন্ধ করা হয়নি। এ রকম পরিস্থিতিতে মুসলিম সম্প্রদায় কুরবানি করবে ও আইন মেনে চলবে। তবে সরকারের উচিত প্রশাসনকে নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া।
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মুফতি আব্দুল রাজ্জাক বলেছেন, মুসলিমদের সঙ্গে আলোচনার মধ্যদিয়ে নির্দেশনা কার্যকর করা উচিত। অহেতুক যাতে কাউকে হয়রানি না করা হয় তা দেখতে হবে। তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশে সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে মুসলিমদের সঙ্গে প্রশাসন কীরকম আচরণ করছে, যা উচিত নয়। ঈদের সময়ে বৈধ পশু কুরবানিতে যাতে কোনও হয়রানি না করা হয় তা দেখা সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।