নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় গাড়িষাপাড়া ও পুরান পাড়ার মধ্য দিয়ে গুমানী নদী থেকে প্রবাহিত সরকারি খাল এখন প্রভাবশালীদের দখলে। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে খালটির অস্তিত্ব। আশির দশকে খালটি খনন করা হয়। সবাই এটিকে জিয়া খাল হিসেবে চেনেন। এই সরকারি খালটিকে প্রভাবশালীরা গিলে খেলেও প্রশাসন নির্বিকার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দখলবাজরা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে যে যার মতো খালটি দখলে নিয়েছে। আর কিছুদিন গেলে মনেই হবে না এখানে একটি খাল ছিল। অথচ ১০-১২ বছর আগেও এ খাল দিয়ে নৌকায় যাতায়াত করত অনেক মানুষ। মৎস্যজীবীপাড়া ব্রিজের নিচে ওই খালের ওপর নির্মিত হয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস। ওই অফিস চালান ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বাহার মল্লিক। তাঁর বাড়ির সামনে এবং তাঁর বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে শৈলগাড়ী ইটভাটার কাছের খালটিও ছাই দিয়ে ভরাট করে দখলে নিচ্ছেন বাহার মল্লিক। ছাই ফেলার সময় ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিকদের বাঁধা দিতে আসে তাঁর লোকেরা। খালখেকোদের বেশির ভাগই প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের দেখাদেখি অন্যরাও মাটি ভরাট করে খালটি দখলে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে বাহার মল্লিক বলেন, আমার নিজের জায়গায়ই ছাই ফেলানো হচ্ছে। তবে দলীয় অফিসটি দশজনের স্বার্থেই করা হয়েছে। কালের কন্ঠ